লবিস্ট নিয়োগে বৈতরণী পার হবে না: জোনায়েদ সাকি

লবিস্ট নিয়োগে বৈতরণী পার হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘এই সরকার বাংলাদেশের মর্যাদাকে ভূ-লুণ্ঠিত করছে, আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। ইতোমধ্যে র‌্যাবের বিরুদ্ধে স্যাংশন এসেছে। তাদের এই সব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে বিপদের মধ্যে ফেলবে। বাংলাদেশের রফতানি, বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকরা বিপদে পড়বেন।’

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘লেখক মুশতাকের রাষ্ট্রীয় হেফাজতে মৃত্যুর এক বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের’ দাবি শীর্ষক বিক্ষোভ সমাবেশে সাকি এসব কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জন্য কারা হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদকে হত্যা করা হয়েছিল। ব্যাংক লুটেরা নাফিস শরাফতের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে প্রাইভেট বাহিনীর মতো ব্যবহার করেছে। মানুষের জীবনের শেষ আশ্রয় আদালতের কাছেও বিচার পাওয়া যায় নাই। ছয় বার জামিনের আবেদন করেও জামিন পাওয়া যায় নাই। কিন্তু লেখক মুশতার জীবন দিয়ে কিশোরের জামিনের ব্যবস্থা করেছিলেন।’ একই মামলায় কিশোর যদি জামিন পেয়ে থাকেন, তাহলে মুশতাককে কেন দেওয়া হলো না? বলে প্রশ্ন করেন তিনি। 

তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের পতনের জন্য ভোটাধিকার রক্ষার জন্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মুশতাক আমাদের প্রেরণা। মুশতাকের শাহাদত সারা দেশের মানুষের মধ্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের শক্তি হয়ে উঠছে। যার যার অবস্থান থেকে রাজপথে নামতে হবে। সব সংগ্রামের যুগপৎভাবে একটি সাধারণ লক্ষ্য— এই সরকারের পতন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে নিয়ে যেতে হবে।’

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন— দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদক ম-লীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, অঞ্জণদাস। সমাবেশ পরিচালনা করেন সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু।

সমাবেশ শেষে জাতীয় জাদুঘর থেকে হাতিরপুল কেন্দ্রীয় অফিস পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।