‘বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তিকে ক্ষমতায় আনার সময় হয়েছে’

‘ভোটাধিকার আদায় ও দুঃশাসনের অবসানে গণ-আন্দোলন পথ দেখাবে সিপিবির দ্বাদশ কংগ্রেস’ বলে মন্তব্য করেছেন দলের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি বলেন, ‘বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তিকে ক্ষমতায় আনার সময় হয়েছে।’

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত দ্বাদশ জাতীয় কংগ্রেসে তিনি এসব  কথা বলেন। এদিন সকালে জাতীয় পতাকা ও কাস্তে-হাতুড়ি খচিত পার্টির লাল পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কংগ্রেসের উদ্বোধন করেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও মোহাম্মদ শাহ আলম।

কংগ্রেসের উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান, সহিদুল্লাহ চৌধুরী, শাহাদাত হোসেন, নুরুল হাসান ও কংগ্রেস প্রস্তুতি পরিষদের চেয়ারম্যান লক্ষ্মী চক্রবর্তী। 

দলীয়সূত্র জানায়, উদ্বোধনী সমাবেশের পর গুলিস্তানের কাজী বশির মিলনায়তনে (মহানগর নাট্যমঞ্চ) সাংগঠনিক অধিবেশন শুরু হবে এবং চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল পর্যন্ত।

সম্মেলনে গত পাঁচ বছরের কর্মকাণ্ডের ওপর ‘কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্ট’, পার্টির রণকৌশলগত দলিল, অর্থাৎ কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক প্রণীত খসড়া ‘রাজনৈতিক প্রস্তাব’ এর ওপর আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।

গঠনতন্ত্র অনুসারে কংগ্রেসের ৩ মাস আগে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে মতামত প্রদানের জন্য খসড়া ‘রাজনৈতিক প্রস্তাব’ পার্টির অভ্যন্তরে বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি শাখা সম্মেলন, উপজেলা/থানা কমিটি সম্মেলন, জেলা কমিটি সম্মেলনে আলোচ্য সূচিভুক্ত করে খসড়া ‘রাজনৈতিক প্রস্তাব’ আলোচনা করা হয়।

কংগ্রেসে রণনীতিগত দলিল ‘ঘোষণা ও কর্মসূচি’ সমসাময়িকীকরণ ও গঠনতন্ত্রের সংশোধনী, অডিট কমিটির রিপোর্ট, কন্ট্রোল কমিশনের রিপোর্ট, ক্রেডেনসিয়াল কমিটির রিপোর্ট উত্থাপিত এবং অনুমোদিত হবে। কংগ্রেসের শেষ অধিবেশনে আগামী ৪ বছরের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি ও কন্ট্রোল কমিশন নির্বাচন করা হবে এবং জাতীয় পরিষদ ঘোষণা করা হবে।

সম্মেলন চলাকালীন প্রত্যেক দিন সন্ধ্যে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মহানগর নাট্যমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। অনুষ্ঠানে দেশের বরেণ্য শিল্পীরা অংশ নেবেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।