গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র বানচাল করতে হবে: গণসংহতি

জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন গণসংহতি আন্দোলন অভিযোগ করেছে, সরকার উপর্যুপরি নতুন করে গ্যাস ও পানির দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে। বাংলাদেশের স্থলভাগ ও সমুদ্রের নিচের গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ না নিয়ে, বেশি দামে এলএনজি আমদানির অজুহাতে এবং এলএনজি ব্যবসায়ীদের স্বার্থে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করার পাঁয়তারা করছে। দলটি মনে করে, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দামবৃদ্ধির এই চক্রান্ত বানচাল করতে হবে।’

শুক্রবার (১১ মার্চ) রাজধানীর হাতিরপুলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের রাজনৈতিক পরিষদের বর্ধিত সভায় (অনলাইন ও অফলাইনে) এসব বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

সভায় দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখতার, দেওয়ান আব্দুর রশিদ নীলু, হাসান মারুফ রুমী, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, ফাল্গুনি সরকার, ইমরাদ জুলকারনাইন ইমন, দীপক রায়সহ নেতারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশাপাশি অনলাইনে যুক্ত হন।

সভা থেকে কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এগুলো হচ্ছে— ১২ থেকে ২৭ মার্চ ২০২২ সারা দেশে জেলা ও উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও থানা শাখাগুলোর উদ্যোগে প্রচারপত্র বিতরণ এবং পথসভা, হাটসভা, ১৫ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিইআরসি ভবনে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও ২৮ মার্চ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারা দেশে সর্বাত্মক হরতাল পালন করা হবে।