রতন সিদ্দিকীর বাসায় হামলার ঘটনায় ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্বেগ

সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতিবাদী কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাবেক শিক্ষক রতন সিদ্দিকীর বাসায় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। এই হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দলটি।

শনিবার (২ জুলাই) ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল, অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করা ও তাদেরকে গ্রেফতার, কলেজ শিক্ষক উৎপলকে হত্যাসহ শিক্ষাঙ্গনে ধর্মের নামে সংখ্যালঘু শিক্ষকদের টার্গেট করে যে ঘটনাবলী ঘটানো হয়েছে এটা তারই অংশ।

ওয়ার্কার্স পার্টি বলেছে, দেশের সাংস্কৃতিক কর্মীরা এ ধরণের সাম্প্রদায়িক হত্যা, হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে, জনমত সৃষ্টি করছে, প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটিকে অঙ্কুরে ধ্বংস করতেই সংস্কৃতিকর্মীদের একটা বার্তা দিতে রতন সিদ্দিকীর বাড়িতে এভাবে হামলা করা হলো। বাড়ির সামনে রাখা মোটরসাইকেল সরাতে ‘হর্ন’ দেওয়া বা সেটাকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করাকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে যেভাবে মুসল্লিদের উত্তেজিত করার চেষ্টা হয়েছে এবং সংগঠিত একটি গ্রুপ দলবদ্ধভাবে তার বাসার কলাপসিবল দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করেছে তাতে এর পিছনের পরিকল্পনা বুঝতে অসুবিধা হয় না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ঘটনার পরপরই জামায়াত-শিবিরের সামাজিক প্রচার মাধ্যম ‘বাঁশের কেল্লায়’ প্রচারিত অভিযোগ তার আরও বড় প্রমাণ। দীর্ঘদিন ধরে বার বার দাবি করা সত্ত্বেও ‘বাঁশের কেল্লা’ ও সমজাতীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করার দাবী করা হলেও সরকার এ ব্যাপারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে নির্বিকার।

ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করে, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী কেবল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক বা সমাজে অসহিষ্ণুতা বিস্তারের কারণে নয়, বরং দেশে একটি সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার লক্ষ্য নিয়ে সংঘটিত করা হচ্ছে। অবিলম্বে রতন সিদ্দিকীর বাড়িতে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া ও সাম্প্রদায়িক প্রচারণা এবং এক্ষেত্রে ধর্মকে ব্যবহারের বিরুদ্ধে সংবিধান ও আইনসম্মত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হচ্ছে।