ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করতে হবে: আ স ম রব

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এমন সময় ভারত সফরে যাচ্ছেন যখন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভারসাম্যহীন অবস্থা দেশবাসীসহ বিশ্বের সামনে উন্মোচিত হয়েছে। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রব এসব কথা বলেন।

জেএসডি সভাপতি উল্লেখ করেন, ইতোমধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে জনগণ শঙ্কিত। মুক্তিযুদ্ধ ও অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যখন পার্শ্ববর্তী দেশের সরকারকে অনুরোধ করা হয় তখন বোঝা যায় দেশটির পররাষ্ট্রনীতি আর যাই হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জনগণের গণতান্ত্রিক  আশা-আকাঙ্ক্ষার উপর প্রতিষ্ঠিত নয়।

রব বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হবে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা, অপর রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি সমর্থন প্রদান এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগ পরিহার করা। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বহির্বিশ্বের সঙ্গে কৌশলগত মিত্রতা বজায় রাখাও আধুনিক পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম লক্ষ্য।

আ স ম রব বলেন, প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে আমাদের উভয়ের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদিসহ সম্পর্ক হবে পারস্পরিক সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক লক্ষ্য অর্জনে বন্ধুত্বের মেরুকরণ অবশ্যই একমুখী না হয়ে দ্বিমুখী হবে। ট্রানজিট ও তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি ব্যবস্থাপনার  অবিচ্ছেদ্য অধিকারকে সুরক্ষা এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধ করাই হবে ভারতের সঙ্গে আমাদের মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্কের ইতিবাচক পদক্ষেপ।

রব বলেন, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের বিপরীতে অবস্থান না নিয়ে জনগণের অভিপ্রায় ভিত্তিক রাজনীতি ও পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করতে না পারলে দেশের অভ্যন্তরে ও ভূ-রাজনীতিতে বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি হবে যা আমাদের স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকিতে ফেলবে। এটা কাম্য হতে পারে না।