‘২৯টি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে তথ্য পরিকাঠামোতে নিয়ে সরকার দুর্নীতি আড়াল করতে চায়’

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ধারা ১৫ অনুসারে ২৯টি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’ হিসেবে ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ২৯টি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়ে সরকার মূলত এ সকল প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলা ও জবাবদিহিকে আড়াল করতে চায়। বর্তমান সময়ে তথ্য পাবার অধিকার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই প্রজ্ঞাপন তথ্য অধিকার আইনের লঙ্ঘন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে জনমানুষের বাক-স্বাধীনতা, মতামত প্রকাশ, সমালোচনা করার অধিকারকে খর্ব করে চলেছে। খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, ভোটাধিকারসহ জনগণের সার্বিক নিরাপত্তাহীনতার দিকে সরকারের তেমন কোনও মনযোগ নেই। অথচ কুখ্যাত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে ২৯ টি প্রতিষ্ঠানকে ক্রিটিকাল ইনফরমেশন ইনফ্রাসট্রাকচার (সিআইআই) হিসেবে ঘোষণা করছে।

আইন অনুযায়ী, দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ। জনগণের কাছে সরকার জবাবদিহি করতে বাধ্য’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের বাস্তবতা হচ্ছে সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে এমনভাবে সরকারি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে যেখানে জবাবদিহির কোনও বালাই নেই। একের পর এক বিবর্তনমূলক আইন, বিধান, অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে দুর্নীতি, লুণ্ঠনকে আইনি বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ২৯ প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা এমনই একটি অপপ্রয়াস মাত্র।