‘বাংলাদেশ এলডিপি’ নামে আসতে চান আব্বাসী-সেলিম

অলি আহমদের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) থেকে বেরিয়ে আসা নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত এলডিপি (আবদুল করিম আব্বাসী-শাহাদাত হোসেন সেলিম) নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদন করতে যাচ্ছে। তবে আবেদনে নামের ক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশ এলডিপি’ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত একাধিক নেতা।

২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর বিএনপি থেকে ৩৫ জন সংসদ সদস্য বেরিয়ে এসে অলি আহমদের নেতৃত্বে এলডিপি গঠন করেন। ১৩ বছর পর ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল করিম আব্বাসীকে আহ্বায়ক এবং শাহাদাত হোসেন সেলিমকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের নতুন এলডিপির আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা হলেন– আব্দুল গণি, এম আবুল বাসার, সৈয়দ ইব্রাহিম রওনক, তৌহিদুল আনোয়ার ও কাজী মতিউর রহমান। আব্বাসী ও সেলিমের নেতৃত্বাধীন অংশটি এতদিন এলডিপি নামে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও নিবন্ধনের আবেদনে তারা ‘বাংলাদেশ এলডিপি’  চূড়ান্ত করেছে।

যদিও ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর এলডিপির নতুন কমিটি গঠন করেন অলি আহমদ। নতুন কমিটিতে অলি আহমদ সভাপতি ও রেদোয়ান আহমেদ মহাসচিব হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন। ওই কমিটি থেকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইব্রাহিম রওনক ও তৌহিদুল আনোয়ারকে বাদ দেওয়া হয়। আর অলির নেতৃত্বাধীন কমিটি থেকে বেরিয়ে আসেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার আব্দুল গণি, সাংগঠনিক সম্পাদক এম আবুল বাসার আর দফতর সম্পাদক কাজী মতিউর রহমান। ২০১৯ সালের ২৬ জুন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য থেকে পদত্যাগ করেন আবদুল করিম আব্বাসী।

পদত্যাগের পর থেকে এলডিপি নামেই সক্রিয় ছিলেন আব্বাসী ও সেলিমের অনুসারীরা। নতুন করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দলের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘রবিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১২টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে নিবন্ধনের আবেদনপত্র জমা দিতে যাবেন দলের শীর্ষ নেতারা। সেখানে আমরা দলের অবস্থান তুলে ধরবো।’