কাল গণতন্ত্র মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন

বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় রাজনৈতিক দলগুলোর নিন্দা-প্রতিবাদ

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) নয়া পল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গুলি চালানোর অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এদিন রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বিবৃতি ও সভায় বিরোধী দলগুলো এসব মতামত ব্যক্ত করে।

এদিকে, বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় একজনের মৃত্যু, অসংখ্য আটক ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের নেতা  সাকিব আনোয়ার জানান, আগামীকাল (৮ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২ নাগরিক ঐক্য অফিসে সংবাদ সম্মেলন হবে।

নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় বাম গণতান্ত্রিক জোট নিন্দা জানিয়েছে। বুধবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় পুলিশি হামলার নিন্দা জানানো হয়। বাম জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক প্রমুখ।

বিবৃতিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে—এরইমধ্যে পুলিশ গুলি করে একজনকে হত্যা করেছে। অন্তত আরও দুজনের মৃত্যু এবং রুহুল কবীর রিজভী, শহীদ উদ্দীন এ্যানিসহ শত শত কর্মী আটক ও গ্রেফতারের খবর বিভিন্নভাবে পাওয়া যাচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে—মানুষ হত্যার নির্মমতাকে সরকার নিয়মিত বিষয়ে পরিণত করতে চায়। সরকার তাদের অবৈধ ও দানবীয় ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতেই এসব করছে।’

নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। দলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম এক বিবৃতিতে বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ হওয়ার কথা, যা বানচাল করতেই যে পুলিশের এই হামলা, তা বোঝা কঠিন নয়’।

এবি পার্টির ব্রিফিংইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের এসব মৌলিক অধিকারকে নির্মমভাবে হরণ করেই যাচ্ছে। তারা বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশগুলো পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিরোধীদলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা একটি উত্তেজনাপূর্ণ সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করেছে।’

নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম। এছাড়া, গণফোরাম একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানান। বুধবার সন্ধ্যায় দলের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবি পার্টি।