ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াই করছি: জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধে জনগণের আকাঙ্ক্ষার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি। গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বত্র সংগ্রাম সংগঠিত করাই হচ্ছে মহান বিজয় দিবসে আমাদের শপথ।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘যে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা নিয়ে লাখ লাখ মানুষ আত্মদান করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি।   আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। হামলা, মামলা, মিছিলে গুলি করে মানুষ হত্যা, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের অপহরণ করে গুম করা, কিংবা কারাগারে আটক রাখা হচ্ছে। সরকার আইন মানছে না। রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও দলীয় গুন্ডা-পান্ডা লেলিয়ে দিয়ে দেশব্যাপী চরম দমন পীড়ন নির্যাতন চালাচ্ছে।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন,  ‘শাসনতন্ত্রের পরিবর্তন না ঘটালে ফ্যাসীবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বা চলমান শাসনতন্ত্রের অধীনে কোনও নির্বাচন সুষ্ঠু সম্ভব হবে না। সুতরাং, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে শাসনতন্ত্রের বদল ঘটাতেই হবে। জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রণয়ন করা হচ্ছে। সংবিধান সংস্কার ও শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তনের সাত দফা এবং আর্থসামাজিক পরিবর্তনের সাত দফা প্রতিষ্ঠার জন্য গণসংহতি আন্দোলন  লড়াই করছে। এই লড়াই এখন জাতীয় মুক্তির লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।’

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, দীপক রায়, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ প্রমুখ।