সরকারের আয়ু ছয় মাস: নুর

গণ-অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, সরকারের লাইফলাইন আর ৬ মাস। যেভাবে বিরোধী দলগুলো রাজপথে আন্দোলনে নেমে গেছে, এভাবে আন্দোলন করতে পারলে শিগগিরই এই সরকারের পতন হবে।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণ-অধিকার পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসরায়েল থেকে ফোনে আঁড়িপাতার যন্ত্রপাতি কেনা, গোয়েন্দা নজরদারির নামে নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা হরণ, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত রাজবন্দিদের মুক্তি, বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজিত হয়।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘২০১৪-১৫ সালের মতো সরকার অগ্নিসংযোগ করে বিরোধীদের ওপর দায় চাপাতে চায়। এমনকি তারা বিরোধীদের ফাঁসাতে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের ওপরও হামলা করতে পারে। তাই প্রশাসনকে বলবো, আপনারা অবৈধ সরকারের সঙ্গ ছেড়ে জনগণের সঙ্গে থাকেন।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম কমলেও সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে ইভিএমের টাকার জন্য তড়িঘড়ি বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। সরকার চাইলেও ১৪ এবং ১৮ সালের মতো আর বিনা ভোটের নির্বাচন করতে পারবে না।’

আওয়ামী লীগের গুজব এবং অপপ্রচার সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে জানিয়ে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা (আওয়ামী লীগ) জনগণকে বিভ্রান্ত করতে বিরোধীদের নিয়ে গুজব ছড়াবে। জনগণকে বলবো, গুজব এবং অপপ্রচারে কান দেবেন না। সাংবাদিক ভাই ও মিডিয়ার মালিকদের বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করবো—আপনারা মানুষের ব্যক্তিগত ফোনালাপ টেলিভিশনে প্রচার করবেন না। সরকার ক্ষমতায় থাকতে নানা ষড়যন্ত্র ও নীলনকশা নিয়ে এগোচ্ছে।’

ক্ষমতাসীন সরকারকে নিরাপদে ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে নুর বলেন, ‘এই সরকারের আয়ু আর ৬ মাস। কাজেই সরকারি দলের নেতাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা ভালোভাবে সেফ এক্সিট নেবে, নাকি গণরোষে নিষ্ঠুরভাবে বিদায় নেবে।'

গণ-অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান খানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান প্রমুখ।