সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট রোগী না দেখার দাবি জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের

সরকারি হাসপাতালে ১ মার্চ হতে প্রাইভেট রোগী দেখার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট রোগী দেখার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘সরকার জনগণের ট্যাক্সের টাকায় প্রতিষ্ঠিত সরকারি হাসপাতালে আগামী ১ মার্চ হতে প্রাইভেট রোগী দেখার নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে। জনগণের কল্যাণের কথা বলে সরকার সরকারি হাসপাতালে ফি নিয়ে রোগী দেখার ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর এক হামলা।’

সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট ব্যবসা চলবে না বলে তিনি বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে দুই শিফটে বিনামূল্যে বহির্বিভাগ চিকিৎসা চালু করতে হবে।’

বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের নির্দেশে সরকার রাষ্ট্রীয় চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থাকে একে একে বেসরকারি করে চলেছে। লুটেরা ব্যবসায়ীদের হাতে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা তুলে দিচ্ছে, একে রুখে দাঁড়ারে হবে।’

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার বলেন, ‘চিকিৎসা করতে গিয়ে দেশে প্রতি বছর ৬৪ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়ে। অপ্রয়োজনীয় টেস্ট ও ওষুধের নাম লিখে এক শ্রেণীর ডাক্তার-প্রাইভেট হাসপাতাল- ডায়াগনস্টিক সেন্টার- ফার্মাসিউটিক্যালসে জনগণের সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে। চিকিৎসাসেবা ক্ষেত্রে এই লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে সরকার নিষ্ত্রিয় দর্শক। স্বাস্থ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব সংগ্রাম সাধারণ সম্পাদক জিকো ত্রিপুরা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও জাতীয় ছাত্র-যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত দাষ।