গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় পরিদর্শন করলো ইসির পুনঃযাচাই কমিটি

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অপসারণের পর গণঅধিকার পরিষদের নতুন কাউন্সিল করেছে নুরুল হক নুরু পক্ষ। এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যকারিতা দেখতে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন তথ্য পুনঃযাচাই কমিটি।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দলটির পল্টনের কার্যালয়ে এসে কমিটি নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে।

জানতে চাইলে তথ্য পুনঃযাচাই কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (আইন) আব্দুছ সালাম বলেন, ‘আমরা অফিসে গিয়েছি, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন কয়েক দিনের মধ্যে নিবন্ধন বাছাই সংক্রান্ত মূল কমিটির কাছে প্রতিবেদন দেবো। সবকিছু পর্যালোচনা করে কমিশনে তা উপস্থাপন হলে সিদ্ধান্ত হবে দলটি নিবন্ধনযোগ্য হবে কি না।’

এর আগে গত বছরের অক্টোবরে রেজা কিবরিয়াকে আহ্বায়ক ও নুরুল হক নুরকে সদস্য সচিব করে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পেতে দলটি আবেদন করেছিল। কিন্তু গত ১ জুলাই এক পক্ষ রেজা কিবরিয়াকে অপসারণ করে এবং পরে আরেক পক্ষ নুরুল হক নুরকে অপসারণ করে। রেজা কিবরিয়ার পক্ষ তার এই অপসারণকে অবৈধ, অগণতান্ত্রিক উল্লেখ করে ইসিতে নালিশ করে।

সবশেষ সোমবার (১০ জুলাই) নুরুল হক নুর পক্ষ কাউন্সিল করে। তাতে নুর সভাপতি ও রাশেদ খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এমন পরিস্থিতিতে ইসির পুনঃযাচাই কমিটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে নুরুল হক নুরের কমিটির লোকজনকে পেয়েছে।

ইসির পুনঃযাচাই কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘এক পক্ষ তো কমিশনে বলেছে এটা অগণতান্ত্রিক। আমাদের কাছে নতুন কমিটি তাদের কাউন্সিলের কথা জানিয়েছে। আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি কীভাবে কাউন্সিল হলো, কমিটির বৈধতা কীভাবে হলো, কতটুকু, তাদের আয়ের উৎস কী, কমিটির তথ্যগুলো সঠিক কি না এবং আরও কিছু বিষয়ে জানার চেষ্টা করেছি। এখন নিবন্ধন পাবে কি পাবে না, সে সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।’

এ বিষয়ে দলটির নতুন কমিটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জমান বলেন, ‘ইসির পুনঃযাচাই কমিটির চার সদস্য সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। এ সময় নতুন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। কমিটি যেসব তথ্য চেয়েছে, আমরা তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’

রেজা কিবরিয়ার পক্ষে রবিবার দলটির দফতর সম্পাদক শাহাবুদ্দিন শুভ ইসিতে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, রেজা কিবরিয়াকে দুই-তৃতীয়াংশের ভোটে অপসারণ করা হয়েছে বলে যে দাবি করা হয়, তা সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক ও প্রতারণামূলক। তিনি দলের আহ্বায়ক হিসেবে বহাল আছেন।

বর্তমানে ইসির কাছে নিবন্ধন দৌড়ে আছে ১২টি দল। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এসব চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।