জোর করে কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা

গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ‘ধস্তাধস্তি’

গণঅধিকার পরিষদের তালাবদ্ধ কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টার সময় দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন। তাদের দাবি, পুলিশ এসময় লাঠিচার্জ করেছে। আর পুলিশ বলছে, পরিষদের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ‘ধস্তাধস্তি’ হয়েছে।

এ ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় নয়া পল্টনের জামান টাওয়ারে এ ঘটনা ঘটে।

গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, সন্ধ্যায় তাদের সরিয়ে দিতে আসে পুলিশ। এ সময় পুলিশ তাদের ওপরে লাঠিচার্জ করে। পুলিশের লাঠিচার্জেই নুরুল হক নুর ও এক নারী কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ নেতাদের বের করে দিয়ে কার্যালয়ে আবারও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলছে। এ নিয়ে ভবনের মালিক মিয়া মশিউজ্জামান দলটির কার্যালায়ের প্রধান ফটকে নতুন কলাপসিবল গেট লাগিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। ওই তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ এসে বাধা দিলে সংঘর্ষ বাঁধে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘পুলিশ আমাদের কোনও নিরাপত্তা দেয়নি। উল্টো তারাই আমাদের ওপর হামলে পড়েছে। তারা আমাদের কার্যালয় ছাড়া করার চেষ্টা করেছে।’

দলের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র করছে সেটা আপনারা দেখেছেন। আমাদের যা কিছু করা হোক, আমাদের চুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস আছে। তাই আমাদের চুক্তি অনুযায়ী, আরও ছয় মাস আমরা কার্যালয়ে থাকবো। কোনোভাবেই কার্যালয় ছাড়বো না।’

পল্টন থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে ঝামেলা হয়েছে শুনে সেখানে পুলিশ গেছে। পুলিশের সঙ্গে তাদের কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়েছে।’

এদিকে জামান টাওয়ারের মালিক মিয়া মশিউজ্জামান গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে তালা দেওয়ার বিষয়ে সকালে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ভাড়া বকেয়া থাকায় নুরুল হক নুরদের বারবার অফিস ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হলেও তারা ছাড়েননি। বরং আমার মালিকানা নিয়ে তারা প্রশ্ন তোলেন। যথাযথ প্রমাণ না দেখাতে পারলে অফিস ছাড়বেন না বলে হুমকি দিচ্ছেন তারা। যেখানে এটা আমার পৈতৃক সম্পত্তি– এ রকম হুমকির মুখে তখন আমি আমার মিস্ত্রী দিয়ে কেচিগেট বানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের অফিসের গেটের সামনে লাগিয়ে দিয়েছি। এই কাজে আমার সঙ্গে কেউ ছিল না। আমি নিজ উদ্যোগে এই গেট লাগিয়েছি। তাদের কার্যালয়ের ভেতরেও কেউ প্রবেশ করেনি।’