একতরফা নির্বাচন বর্জন ও রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান বাম নেতাদের

‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে একতরফা প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে চলমান স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন আরও দীর্ঘায়িত হবে। জনজীবনের সংকট বাড়বে। জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকারহীন পরিস্থিতির শিকার হবে। তাই এই একতরফা প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও রুখে দাঁড়ানোর জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান বাম রাজনৈতিক নেতারা।’

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ও জাতীয় গণফ্রন্টের এক যৌথসভায় এই আহ্বান জানান তারা।

সভায় বাম নেতারা সভা-সমাবেশের অধিকার হরণ, শহর ও গ্রামে বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর পুলিশ-সাদাপোশাকধারী ও সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের হামলা-গুপ্ত হত্যা, গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং রাজনৈতিক কারণে আটক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও সবার গণতান্ত্রিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদানেরও দাবি জানানো হয়।

তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ও জনজীবনের সংকটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি গার্মেন্ট শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘোষিত মজুরি বাতিল ও বাঁচার মতো মজুরি নির্ধারণের দাবি জানানো হয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ।

আরও ছিলেন জাতীয় গণফ্রন্টের কামরুজ্জামান ফিরোজ, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণমুক্তি ইউনিয়নের সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, বাসদের (মাহবুব) মাহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, সাম্যবাদী আন্দোলনের মঞ্জুর আলম মিঠু প্রমুখ নেতারা।