পুলিশের বাধায় বাম জোটের ইসি ঘেরাও কর্মসূচি পণ্ড

পুলিশের বাধায় নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি সফল করতে পারেনি বাম গণতান্ত্রিক জোট। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে পল্টন থেকে ইসি অভিমুখে যাওয়ার পথে কদম ফোয়ারার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন জোটের নেতাকর্মীরা। এসময় সেখানেই তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম এখান থেকে নির্বাচন কমিশনে যাবো এবং আমাদের কথা বলবো। যদিও আমরা জানি, এ সরকার ভাগ-বাটোয়ারা করে ভোট শেষ করতে চায়। তারা নিজেরাই ঠিকঠাক করে সবকিছু শেষ করতে চায়। এ সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে আমাদের এখানে আটকে দিয়েছে। এর নিন্দা জানানোর ভাষা  নেই। এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র  এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে গড়ে তোলার সংগ্রাম আমরা করছি।’

তিনি আরও বলেন,  ‘সরকার ভয়ের রাজত্ব কায়েম করতেছে। সরকার এমন কিছু আইন করেছে— এখন কোনও কথা বললে জেলে যেতে হতে পারে, গুম করে দিতে পারে। তারা আরেকটি আইন করেছে সেটি হলো— আগামীকাল থেকে রাজনৈতিক সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। এইটার মানে কী? বাংলাদেশে কি জরুরি আইন জারি হয়েছে? এই আইন অনৈতিক, অন্যায় এবং অসাংবিধানিক। সরকার আমাদের কণ্ঠ বন্ধ করতে পারবে না। বাংলাদেশে আমরা প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবো না।’

বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন,  ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চাসহ আজকে নির্বাচন কমিশনের অভিমুখে আমাদের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু পুলিশ আমাদের এখানে বাধা দিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপরে পুলিশ হামলা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।’

রমনা জোনের শাহবাগ থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর সরদার বুলবুল আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজকে অফিস ডে, সেজন্য যান চলাচলে যাতে কোনও ধরনের ব্যাঘাত না ঘটে, তাই আমরা ওনাদের বলেছি, আপনাদের যদি কোনও দাবি থাকে, তাহলে সেটি লিখিত আকারে আমাদের দেন। আমরা সেটি সরকারের কাছে পৌঁছে দেবো। কিন্তু তারা ব্যারিকেট ভাঙার চেষ্টা করেছে। আমরা ধৈর্যের সঙ্গে তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। পরে তারা এখানে (কদম ফোয়াড়া মোড়ে) সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে।’

গণতান্ত্রিক বাম জোটের পক্ষ থেকে কোনও লিখিত দাবি দেওয়া হয়েছে কিনা প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত তারা কোনও  লিখিত দাবি আমাদের কাছে পাঠায়নি।’