নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশ করতে যাচ্ছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সমাবেশ সফল করতে ও চার দফা দাবির পক্ষে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার (২ মে) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। 

বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন,  ‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইসলামের বিরুদ্ধে, কোরআন-বিরোধী ও মুসলমান বিরোধী। শুধু এই প্রতিবেদন নয়, সম্পূর্ণ নারী সংস্কার কমিশন বাতিল করতে হবে। আমরা বলতে চাই, আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) ক্ষমতা এসেছেন ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের রক্তের বিনিময়ে। হেফাজতের নেতাদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার না করলে আবারও যুদ্ধে করে আপনাকে (ড. ইউনূস) ক্ষমতা থেকে নামাবো।’

সমাবেশে হেফাজতের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাবের কাশেমী বলেন, ‘আগামীকাল যে সমাবেশ হতে যাচ্ছে, এটা কোনও নারীবিরোধী সমাবেশ নয়। এরআগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইসলাম ও নারীদের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। আমরা মা-বোনদের আশস্ত করতে চাই, ইসলাম নারীদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্মান দিয়েছে, সর্বচ্চো পর্যায়ের অধিকার দিয়েছে। যারা নারীর নাম ব্যবহার করে, নারী কমিশনের নামে নারী-পুরুষ বৈষম্যের মতো আচরণ শুরু করেছে, তাদের বিরুদ্ধে হেফাজতের এই সমাবেশ।’ 

হেফাজতের বিক্ষোভ সমাবেশ (ছাবি: সাজ্জাদ হোসেন)

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মাওলানা মুফতি আজহারুল ইসলাম, মুফতি ফখরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আবু তাহের খান মাওলানা জয়নুল আবেদীন, মাওলানা গাজী ইয়াকুব ওসমানী, পল্টন জোনের নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকী ও যাত্রাবাড়ী জোনের নেতা মুফতি শরীফুল্লাহ।

উল্লেখ্য, চারদফা দাবিতে আগামীকাল শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। তাদের চার দফার মধ্যে রয়েছে, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন ও এর প্রতিবেদন বাতিল করা; সংবিধানে বহুত্বদের পরিবর্তে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করতে হবে;  হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা প্রত্যাহার ও শাপলা চত্বরের কথিত হত্যাকাণ্ডসহ সব গণহত্যার বিচার করতে হবে এবং ফিলিস্তিন ও ভারতে ‘মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধে’ সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে।