৫ আগস্টের আগেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে জুলাই ঐক্য। না হয় ওইদিন সচিবালয় ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বুধবার (৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জুলাই ঐক্যের ব্যানারে 'আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ ও বিচারের দাবিতে' আয়োজিত মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী বলেন, আগামী '৩৬ জুলাই’র মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার করতে হবে। পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার করতে হবে। জুলাই ঐক্য কোনও রাজনৈতিক দল নয়।
তিনি বলেন, ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিষিদ্ধ করতে হবে। যদি না হয়, তাহলে ‘৩৬ জুলাই’ সচিবালয় ঘেরাও দেওয়া হবে। যে সচিবালয়ে বসে এখনও ষড়যন্ত্র করা হয়, সেখান থেকে কাউকে বের করা সম্ভব হবে না। জুলাই শহীদদের রক্ত নিয়ে কাউকে টেন্ডারবাজি করতে দেওয়া হবে না।
এসময় জুলাই অভ্যুত্থানে আহত বাবু এমদাদ বলেন, ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালে শাপলা হত্যাকাণ্ড, ২০২১ সালে মোদীবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। আমরা এ জঙ্গি সংগঠনের বিচার চাই। আমরা বাংলাদেশপন্থিরা যতদিন বেঁচে আছি, জঙ্গিদের কোনও সংগঠন বাংলাদেশে হতে দেবো না।
জাগ্রত জুলাইয়ের শামিম মাহদি বলেন, হাজারো শিক্ষার্থীর রক্তের সঙ্গে বেইমানি জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না। আগামী জুলাইয়ের আগে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে আমরা পুনরায় জুলাই জাগ্রত করে তুলবো। আমরা আশ্চর্য হই, জুলাইয়ে শহীদ ভাইয়ের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে মেয়ে ধর্ষণের শিকার হন। আমাদের ক্যাপ্টেন হাসনাতের ওপর হামলা হয়। ফলে এ ফ্যাসিস্টদের বিচার করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে খুনের রক্ত লেগে আছে। তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।