জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে টালবাহানা ছিল। ফ্যাসিবাদের অনেক নেতাকে সেফ এক্সিট দেওয়া হয়েছে। তাই দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়টিকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।
শনিবার (১০ মে) দিবাগত রাত পৌনে ৪টায় শাহবাগের আন্দোলন সমাপ্ত ঘোষণা করে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত বলেন, আমরা দেখেছি সম্প্রতি তাদের সময়ের রাষ্ট্রপতিকে সেফ এক্সিট দিয়ে দেশ ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের কতিপয় শীর্ষ ব্যক্তি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছেন। এতদিন পর দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের বিধান যুক্ত হয়েছে। যদিও প্রাথমিকভাবে আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু এটিই যথেষ্ট নয়। শাপলা, পিলখানা হত্যার বিচার হচ্ছে না। জুলাই আহতদের মামলা নেওয়া হচ্ছে না। অনেক জায়গায় তারা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হচ্ছে। জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নতুন দুটি ট্রাইব্যুনাল করার কথা ছিল। কিন্তু মে মাসেও হয়নি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি গণহত্যাকারীদের বিচার ত্বরান্বিত করতে জেলা পর্যায়েও ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানান।
হাসনাত বলেন, ফ্যাসিবাদের মিডিয়া ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের দিকে নজরদারি করতে হবে। কারণ তারা এখনও জুলাইকে অবমূল্যায়ন করার চেষ্টা করছে।
তাদের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো রাষ্ট্রের অধীনে নিয়ে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, বিগত দিনে আওয়ামী লীগের সাথে যারা চৌদ্দ দলে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চাই। তারা ৫ আগস্টেই অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। তাদের কেউ কেউ ভারত থেকে এসে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন সে দেশের সরকারের সাথে কথা না বলে কিছু জানাতে পারবেন না। তাদের ব্যাপারেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, জুলাই সনদ ঘোষণা নিয়ে সরকার ৩০ দিনের সময় নিয়েছে। ইতিপূর্বেও সরকার টালবাহানা করেছে। এই ৩০ দিনকে আমরা পর্যবেক্ষণে রাখবো। এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দেখতে চাই।
তিনি বলেন, আগামীতে সমন্বিতভাবে ফ্যাসিস্টদের প্রতিরোধ করা হবে। সোমবার প্রজ্ঞাপন হাতে পেলে আনন্দ মিছিল হবে।
জুলাই যোদ্ধারা আমাদের প্রেরণা। কোনও ক্রেডিট চলবে না। কোনও ফ্যাসিবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিতে চাইলে প্রতিরোধ করা হবে।