গণতান্ত্রিক সংবিধানকে সামনে এনেছিলেন আবদুস সালাম: জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আন্দোলনে গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব সবচেয়ে ভালোভাবে অনুধাবন করেছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম। দেশের বহু রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হিসেবে গণতান্ত্রিক সংবিধানকে কেন্দ্রীয় প্রশ্ন হিসেবে নিয়ে আসার জন্য তিনি আমৃত্যু সরব ও সক্রিয় ছিলেন। আজকের বাংলাদেশে আমাদের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের প্রতিটি মুহূর্তে অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের ভূমিকার কথা আমরা স্মরণ করি।

সোমবার (২৬ মে) গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের অন্যতম রূপকার ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রথম নির্বাহী সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মরণ করা হয়। এসময় দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা।

শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীরা। ছাত্রজীবন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সংগঠক হিসেবে ভূমিকা নেওয়া, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সংবিধান প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় রাজনৈতিক সংগঠন ও জোট গঠন এবং গণতান্ত্রিক সংবিধানকে গণতান্ত্রিক রাজনীতির অন্যতম কেন্দ্রীয় প্রশ্নে পরিণত করাসহ অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা উঠে আসে সবার আলাপে।

স্মৃতিচারণে আবুল হাসান রুবেল বলেন, অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের যে দীর্ঘ বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, সেখানে কোনও আত্মম্ভরিতার জায়গা ছিল না। বয়সের পার্থক্যকে দূরে ঠেলে তরুণদের সঙ্গে একই কাতারে রাজনীতি করার দূরদর্শিতা এবং সৎসাহস আজীবন চর্চা করেছিলেন তিনি। তার চিন্তা ও আদর্শ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা ও শক্তির জায়গা হয়ে আছে সবসময়।

শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও স্মরণের আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের নেতা মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক রায়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলিফ দেওয়ান, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফসহ দলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।