জাতীয় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দাবিতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোড মার্চ শুরু করেছে ‘সাম্রাজবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে না দেওয়া, স্টারলিংক ও করিডোরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধচক্রে জড়ানোর উদ্যোগ বন্ধ করা, আধিপত্যবাদী দেশগুলোর সাথে বিগত সব সরকারের আমলে স্বাক্ষরিত চুক্তি প্রকাশ ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয় রোড মার্চ থেকে।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে দুই দিনের এই রোড মার্চ কর্মসূচি শুরু হয়।
জানা গেছে, রোড মার্চ ঢাকা থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করে ২৮ জুন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে গিয়ে শেষ হবে। প্রথম দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করবেন লং মার্চে অংশগ্রহণকারীরা। সেখান থেকে বিকাল ৫টায় কুমিল্লার টাউন হল ময়দানে সমাবেশ করা হবে। দ্বিতীয় দিন সকাল ৯টায় ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে মিরসরাই পৌঁছে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করবে। সেখান থেকে বিকাল ৫টায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে সমাপনী সমাবেশ করে তারা রোড মার্চ কর্মসূচির সমাপ্তি করবেন।
রোড মার্চ শুরুর আগে প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স রোড মার্চ কর্মসূচির চার দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- নিউমুরিংসহ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে দেওয়া চলবে না, রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে পরিচালনা করতে হবে; রাখাইনে করিডোর দেওয়ার ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে; স্টারলিংক, সমরাস্ত্র কারখানা, করিডোরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধচক্রে জড়ানোর উদ্যোগ বন্ধ করতে হবে; এবং মার্কিন, ভারতসহ সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী দেশগুলোর সাথে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারসহ বিগত সকল সরকারের আমলে স্বাক্ষরিত সকল চুক্তি প্রকাশ করতে হবে ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে।
এসময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সিপিবির সভাপতি শাহ আলম, বাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এমএম আকাশ, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের সভাপতি মফিজুর রহমান লালটু, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি অ্যাড. আবদুস সবুর খান, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্তসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
এছাড়াও এই রোড মার্চ কর্মসূচির প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ সংহতি জানিয়েছেন বলে জানান রুহিন হোসেন প্রিন্স।