গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট থেকে বেরিয়ে গেলো ছাত্র ফেডারেশন

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট থেকে নিজেদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মিতু সরকার ও সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট গঠিত হয়েছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে। সে সময় ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার’ রাজনৈতিক দাবিকে সামনে রেখে এবং ১৩ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন জোটে যুক্ত হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে খুনি হাসিনার দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটে। এর মাধ্যমে জোটের গঠনকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও কর্মসূচির প্রাসঙ্গিকতা শেষ হয়েছে।

নেতারা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট একটি সুসংগঠিত রাজনৈতিক রূপরেখা হাজিরে ব্যর্থ হয়েছে। এটি বর্তমানে নিছক ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচি পালনের মঞ্চে পরিণত হয়েছে। জোটভুক্ত অধিকাংশ ছাত্র সংগঠন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তারা সেসব দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে থাকে।

আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও তার মদদদাতা ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদবিরোধী লড়াইয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ভূমিকা সম্পর্কে তাদের কঠোর সমালোচনা রয়েছে বলেও জানান বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা।

তারা আরও বলেন, আমরা মনে করি, সংস্কারের পথ দিয়ে নয়; বরং জনগণের সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতার হাতে ক্ষমতা আনতেই গণঅভ্যুত্থানের রাজনৈতিক প্রস্তুতি এখন জরুরি। কিন্তু গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান এই অভিমুখে নেই।