বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেছেন, ‘দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের পর দেশের মানুষ ইতিহাসের সবচেয়ে অবাধ জাতীয় নির্বাচন দেখার প্রতীক্ষায়। একটি প্রজন্ম কখনও ভোটই দিতে পারেনি। দেশের মানুষ যখন একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে, তখন কোনও কোনও দল স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের জন্য পাঁয়তারা করছে। এটি নিঃসন্দেহে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত হিসেবে মনে করি।’
শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ’র সদস্য, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ শাহজাহান আলী সুয়েজের নেতৃত্বে কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মীর বাংলাদেশ এলডিপিতে যোগদান উপলক্ষে এসব কথা বলেন দলের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে আলোচনা একটি পর্যায়ে এসেছে। রাজনৈতিক বাস্তবতা মেনে নিয়ে সব দলকে সংস্কারের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাই। অন্যথায় ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মারা আবারও সুযোগ নিতে চাইবে। ইতোমধ্যে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে, এর ভিত্তিতে অবিলম্বে জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানাই।’
কোনও কোনও দল নির্বাচন পদ্ধতি হিসেবে কিম্ভূতকিমাকার পদ্ধতিকে সামনে আনছে অভিযোগ করে শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘দেশের মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য রক্ত, প্রাণ দিয়েছে। গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য শত শত তরুণের প্রাণ গেছে রাজপথে। কোনও কিম্ভূতকিমাকার পদ্ধতিকে দেখার জন্য নয়। যারা এই বিষয় আলোচনায় তুলছে তাদের লক্ষ্য আদৌ নির্বাচন কিনা, এই প্রশ্ন দেশের মানুষের রয়েছে।
দেশের মানুষ ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো কোনও অবস্থাতেই এই চক্রান্তে পা দেবে না, বলে মনে করেন বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম।
দলে যোগ দিয়ে মোহাম্মদ শাহজাহান আলী সুয়েজ আশা করেন, আমৃত্যু তিনি গণতন্ত্র ও দেশের কল্যাণে কাজ করবেন। গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও দেশের উন্নয়নে নিজের অংশগ্রহণকে আরও তরান্বিত করবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের এলডিপির মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটো, অতিরিক্ত মহাসচিব এম এ বাশার।