গত ১৮ জানুয়ারি রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলের বলরুমে ‘ফার্স্ট এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে ওয়ালটনসহ মোট আটটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়। ‘বেস্ট ইন ইমপোর্ট সাবস্টিটিউশন’ বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে ওয়ালটন। ১ কোটি মার্কিন ডলার কিংবা তারও বেশি আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সেরা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কারটি পেলো ওয়ালটন। এইচএসবিসি পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো স্কয়ার গ্রুপ, ডিবিএল গ্রুপ, জনতা সাদাত গ্রুপ, অ্যামিগো বাংলাদেশ লিমিটেড, ম্যাক্স গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ব্র্যাক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তার কাছ পুরস্কার গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ওয়ালটনকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত করা। আমাদের বিশ্বাস, শিগগিরই বাংলাদেশ হবে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের হাব বা কেন্দ্র। এ লক্ষ্য অর্জনে এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রেরণা জোগাবে।’
পুরস্কার বিতরণীতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফ্রাঁসোয়া দ্য ম্যারিকো ও ডেপুটি সিইও মাহবুব উর রহমান। এছাড়া অংশ নেন ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক আবুল বাশার হাওলাদার, আন্তর্জাতিক ব্যবসা ইউনিট (আইবিইউ) প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, ফার্স্ট সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর শাহানা আক্তার শম্পা, উপ-পরিচালক মুনিমা চৌধুরী নদী ও অগাস্টিন সুজন এবং সহকারী পরিচালক মির্জা মারুফ-উর-রহমান।
ইলেক্ট্রনিক্স, ইলেক্ট্রিক্যাল ও আইসিটি পণ্য উৎপাদনে দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের প্রায় ৩৫টি দেশে রফতানি হচ্ছে তাদের পণ্য।