হবিগঞ্জে অবস্থিত মিরপুর সিরামিক ও খাদিম সিরামিকের সর্বশেষ সংযোজন, জ্বালানি সংরক্ষণকারী টানেল কিলন প্রযুক্তির সফল সংযোজন এবং ব্যবহারের মাধ্যমে নির্মাণসামগ্রী তৈরির জন্য ‘গ্রিন চ্যাম্পিয়ন’ হিসাবে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছে সানশাইন ব্রিকস লিমিটেড। গত ২৫ এপ্রিল ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশে জলবায়ু সংরক্ষণে আর্থিক অংশীদারত্ব বৃদ্ধি সম্পর্কিত এক অনুষ্ঠানে সানশাইন ব্রিকসকে এ পুরস্কার দেয় গ্লোবাল ক্লাইমেট পার্টনারশিপ ফান্ড এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আসিফ আরিফ তাবানী, ভাইস-চেয়ারম্যান সাকিফ আরিফ তাবানী এবং পরিচালক আয়েশা সানা আসিফ তাবানী পুরস্কার গ্রহণ করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে সানশাইন ব্রিকসে অটোমেটেড ইউরোপিয়ান প্রযুক্তিতে কম জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে সিরামিক ব্রিক ও ব্লক তৈরি হচ্ছে। নান্দনিকতার উৎকর্ষের জন্যে এই পণ্যগুলো দেশের বাইরে অনেক জনপ্রিয়। তাছাড়া এই কারখানাতে কয়লার বদলে ব্যবহার হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। কারখানায় ওপরের স্তরের মাটি না ব্যবহার করে নির্দিষ্ট মাটির খনি থেকে ভেতরের দিকে ৮০-১০০ ফিট পর্যন্ত মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
পাশাপাশি টানেল কিলন টেকনোলজির মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পাদন হওয়ার কারণে দেশের একই ধরনের অন্যান্য কারখানার তুলনায় এখানে ২০ ভাগ কম জ্বালানি ব্যবহার হচ্ছে। কারখানায় উৎপাদিত তাপ বের হতে না দিয়ে টানেল দিয়ে আবার পুনরায় সিরামিকের কাঁচা ব্রিক ও ব্লক ড্রাই করার কাজে ব্যবহার হয়, যাতে করে এই তাপ পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশকে উত্তপ্ত না করে ফেলে। সবদিক দিয়ে নির্মাণ পণ্য উৎপাদনকে পরিবেশবান্ধব করতে সরকারের প্রচেষ্টার সঙ্গে এই কারখানা সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ ভূমিকায় চলছে।
কম জ্বালানি ব্যবহার ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকে উৎসাহিত করে আসছে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জিসিপিএফ। এ জন্যে ‘গ্রিন চ্যাম্পিয়ন’ নামে সম্মাননা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন কলকারখানাগুলোকে পরিবেশবান্ধব করতে উদ্বুদ্ধ করছে তারা। সানশাইন ব্রিকস বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব কারখানা হিসেবে প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার পেলো।