ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের লেনদেন খরচ কমালো নগদ

নগদ লোগোকরোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় মৎস্য, ডেইরি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সবাইকে দেশের সংকটে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনেদেন ‘নগদ’ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের লেনদেন খরচ কমিয়ে ৬ টাকায় নিয়ে এসেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র এই পরিকল্পনা করেছেন।
এরই অংশ হিসেবে ‘নগদ’ নিয়ে এসেছে ‘স্বাধীন মার্চেন্ট’। এখন থেকে প্রতি হাজারে মাত্র ৬ টাকা খরচ করে একজন ব্যবসায়ী তাঁর প্রয়োজনে ক্রয়কৃত মালামালের জন্য আরেকজন ‘নগদ স্বাধীন মার্চেন্ট’কে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের লেনদেন খরচ কমলে পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে বাংলাদেশের সকল মানুষ। ফলে মানুষের জীবনমানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে ‘নগদ’-এর এই উদ্যোগ।
মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ‘নগদ’ মনে করে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাঁচলে মানুষ বাঁচবে। এজন্য দেশের সংকটময় মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় সেবা ‘নগদ’ পাঁচ ধরনের ব্যবসা ও ব্যবসায়ীর পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, পোস্ট অফিস, বাজার এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা।
মোস্তাফা জব্বারের নির্দেশনায় দেশে লকডাউনের শুরু থেকে মোবাইল অপারেটরগুলোর সঙ্গে কথা বলে সারাদেশের মোবাইল টপ-আপ রিটেইলারদের ডিজিটালি টাকা কেনার ব্যবস্থা করে ‘নগদ’। ফলে রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক-এর রিটেইলাররা চাইলেই ‘নগদ’-এর মাধ্যমে যেকোনও সময় মোবাইলে ডিজিটালি টপ-আপ কিনতে পারছেন। ফলে এই দুর্যোগে নিরবচ্ছিন্ন সেবা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

এছাড়া ‘নগদ’ দেশের এমন সংকটে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিজ্ঞাপন বাজেট কমিয়ে এনে সেই টাকা লেনদেন খরচ কমানোর কাজে ব্যবহার করছে। পাশাপাশি ‘নগদ’-এ প্রথম ১ হাজার টাকা ক্যাশআউটে চার্জ না নেওয়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের সেটেলমেন্ট চার্জ শূন্য করার মতো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে দেশের ৪৯২টি উপজেলায় অসহায় মানুষদের খাবার এবং ডাক বিভাগের তত্ত্বাবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিনামূল্যে বিতরণ করছেন ‘নগদ’-এর কর্মীরা।