এবার সিএমপি-বিদ্যানন্দ হাসপাতালে ‘লাভ ফর চট্টগ্রামের’ চিকিৎসা সরঞ্জাম

107239328_1695659813919068_1876826551706411622_n (1)আবারও করোনায় জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা সরঞ্জাম বিতরণ করেছে ‘লাভ ফর চট্টগ্রাম’। সংগঠনটির পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতালে একটি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানোলা, নন রিব্রিদেবল মাস্ক, এন৯৫ মাস্ক ও পিপিই সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এর আগে সংগঠনটি নগরীর জেনারেল হাসপাতালে ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং মা ও শিশু হাসপাতালে দুটি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানোলাসহ এন৯৫ মাস্ক ও পিপিই প্রদান করে।

রবিবার (৫ জুলাই) সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতালে এই চিকিৎসা সরঞ্জাম হস্তান্তর করা হয়। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রামে রাশিয়ার কনস্যুলেট জেনারেল আর্কিটেক্ট আশিক ইমরান, ফিনলে প্রোপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোফাখ্খারুল ইসলাম খসরু, আর্কিটেক্ট ফারুক আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মেহতাবুর রহমান, মামুনুর রশীদ ও আতাউল হাকিম খসরু। হাসপাতালের পক্ষে এই সামগ্রী গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগমসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান চট্টগ্রামবাসীর প্রশংসা করে বলেন, ‘আজ সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও ব্যক্তিপর্যায়ের প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম করোনা মোকাবিলায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে। খুব অল্প সময়ে চালু হওয়া সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল এর জ্বলন্ত প্রমাণ।’

এই সময় লাভ ফর চট্টগ্রামের অন্যতম উদ্যোক্তা আশিক ইমরান বলেন, ‘সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতালের কার্যক্রমে লাভ ফর চট্টগ্রামের অংশগ্রহণকে নগরবাসীর দুঃসময়ে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। শুধুমাত্র বিপর্যয়ের সময়ই বৃহত্তর স্বার্থে আমরা আমাদের নিজস্ব গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসি, মানুষের সেবায় এভাবে পাশে দাঁড়াই।’

‘লাভ ফর চট্টগ্রাম’ হচ্ছে চট্টগ্রামের বিশিষ্টজন এবং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা চট্টগ্রামের প্রবাসীদের সহযোগিতা গড়ে ওঠা একটি উদ্যোগ। এর অন্যতম উদ্যোক্তা স্থপতি আশিক ইমরান ও মেঘনা গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিশিষ্ট গীতিকবি আসিফ ইকবাল।

প্রসঙ্গত, এই উদ্যোগের সঙ্গে ইতোমধ্যে যুক্ত আছেন চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা।