X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৭ আষাঢ় ১৪৩২

এনআরবিসি ব্যাংকের ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ

বাংলা ট্রিবিউন ডেস্ক
০১ মে ২০২৪, ২০:৪৪আপডেট : ০১ মে ২০২৪, ২০:৪৪

পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সুপারিশ করেছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ব্যাংকের ১১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) হাইব্রিড পদ্ধতিতে (অফলাইন ও অনলাইন) অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের ১৮৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, পরিচালক মোহাম্মদ আদনান ইমাম, মোহাম্মদ অলিউর রহমান, লকিয়ত উল্লাহ, মোহাম্মদ নাজিম, এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, এ এম সাইদুর রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক এয়ার চিফ মার্শাল (অব) আবু এশরার, ড. রাদ মুজিব লালন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী গোলাম আউলিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া ব্যাংকের ডিএমডি রবিউল ইসলাম, কবীর আহমেদ, হারুনুর রশীদ এবং কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আহসান হাবিবসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১৩ জুন ব্যাংকের ১১ম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ব্যাংকের ডিভিডেন্ডের রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ মে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২৩ সালের বার্ষিক নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদিত হয়।

আর্থিক বিবরণী অনুসারে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে সমন্বিতভাবে ব্যাংকের ইপিএস বেড়ে হয়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ৩৩ পয়সা। এককভাবে ইপিএস ২ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সায়। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে সমন্বিত হিসেবে ব্যাংকটির ব্যালান্সশিটের আকার দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৪৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আগের বছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ২৫ হাজার ৬২ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এ ছাড়া সমন্বিতভাবে বছর শেষে ব্যাংকটির নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৫৬ কোটি ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৪২ টাকা। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যা ছিল ১ হাজার ৩২৭ কোটি ২ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬২ টাকা। এককভাবে এনএভি হয়েছে ১ হাজার ৪১৮ কোটি ৪ লাখ ৪১ হাজার ৫০৪ টাকা। আগের বছরের ডিসেম্বরে ছিল ১ হাজার ২৯৩ কোটি ৫৩ লাখ ২০ হাজার ২১৩ টাকা।

এ ছাড়া সমন্বিতভাবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে শেয়ার প্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫৮ পয়সায়। আগের বছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ১৬ টাকা ১ পয়সা। আর এককভাবে শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১১ পয়সা। গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যা ছিল ১৫ টাকা ৬১ পয়সা।

পরিচালনা পর্ষদের সভায় জানানো হয়, গত বছরে ব্যাংকটি তার নেটওয়ার্ক বিস্তার এবং ব্যাংকিং সেবার প্রসার ঘটিয়েছে। শাখা, উপশাখা ও বুথ মিলে সারা দেশে ১ হাজার ৬১৬টি স্থান থেকে সেবা দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ১৩ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা।

আরও জানানো হয়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের চূড়ান্ত হিসেবে প্রভিশন সংরক্ষণ ও কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৮৪ কোটি ৬৩ লাখ।

এনআরবিসি ব্যাংকের হেড অব কমিউনিকেশন ডিভিশন মো. হারুন-অর-রশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

/এনএআর/
সম্পর্কিত
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে লেনদেন ও শেয়ার বাজার
পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে: ডিবিএ সভাপতি
বছরে ৯৬০ কোটি টাকা সুদ দিতে হয়, চলছে না আইসিবি: অধ্যাপক আবু আহমেদ
সর্বশেষ খবর
শেফালির মৃত্যু: কারিনা বললেন, ‘আমি বোটক্সের বিরুদ্ধে’
শেফালির মৃত্যু: কারিনা বললেন, ‘আমি বোটক্সের বিরুদ্ধে’
জুলাই শহীদদের প্রতি জোনায়েদ সাকির শ্রদ্ধা নিবেদন
জুলাই শহীদদের প্রতি জোনায়েদ সাকির শ্রদ্ধা নিবেদন
ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরুর আহ্বান জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর
ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরুর আহ্বান জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর
ক্রিকেটার নাসির-তামিমার মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানি ১৪ জুলাই
ক্রিকেটার নাসির-তামিমার মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানি ১৪ জুলাই
সর্বাধিক পঠিত
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি
প্রশাসনে থামছে না আন্দোলনঅন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি