পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, দীর্ঘদিন পরে পুঁজিবাজারে ওয়ালটন হাই-টেকের মতো একটি কোম্পানির আইপিও আসছে শুনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) ও শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ভালো অবস্থানে আছে। এসব দিক বিবেচনায় পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নজর এখন ওয়ালটন হাই-টেকের আইপিও’র দিকে। ওয়ালটন শেয়ারে বিনিয়োগ করে ভালো লভ্যাংশ পাবেন- এমন প্রত্যাশা করছেন বিনিয়োগকারীরা।
প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজের চিফ বিজনেস অপারেশন (সিবিও) কাজী আহসান হাবিব বলেন, ‘ওয়ালটনের ইপিএস ও এনএভি চমৎকার। সার্বিক বিবেচনায় ওয়ালটন নিঃসন্দেহে একটি ভালো স্টক। তাই কোম্পানিটির সাবস্ক্রিপশন খারাপ হওয়ার সুযোগ নেই।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওয়ালটনের মতো একটি বৃহৎ কোম্পানি ক্যাপিটাল মার্কেটে আসার সিদ্ধান্ত বাজারের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। এ ধরনের কোম্পানি শেয়ার বাজারে আসার কারণে ক্যাপিটাল মার্কেটের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে এবং অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির গতি তরান্বিত করতে সহায়তা করবে।’
এর আগে চলতি বছরের ২৩ জুন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৭২৯তম কমিশন সভায় ওয়ালটন হাই-টেককে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয়। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ওয়ালটন পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এর মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬০ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৮০৫ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩৯ কোটি ৩ লাখ ৪২ হাজার ১৯৫ টাকা সংগ্রহ করবে। সংগৃহীত টাকা থেকে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যবসা সম্প্রসারণ, ৩৩ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ ও চার কোটি ৫০ লাখ টাকা আইপিও পরিচালনা বাবদ ব্যয় করবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।