এডিবির দু’টি পুরস্কারে ভূষিত প্রাইম ব্যাংক

এডিবির পুরস্কারে ভূষিত প্রাইম ব্যাংকএশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ‘জেন্ডার চ্যাম্পিয়ন ইন এশিয়া-২০২০’ এবং ‘বেস্ট গ্রিন ডিল’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে প্রাইম ব্যাংককে। জেন্ডার সমতা ও টেকসই অর্থায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে এডিবি প্রতিবছর এই পুরস্কার দিয়ে থাকে। বুধবার (২৮ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই পুরস্কার পাওয়ার কথা জানিয়েছে প্রাইম ব্যাংক।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এডিবি’র ট্রেড অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্স প্রোগ্রাম (টিএসসিএফপি) পুরস্কার এশিয়ার ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্সিয়াল খাতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। এই পুরস্কার প্রাইম ব্যাংকের জন্য অসাধারণ এক অর্জন। এডিবি’র ৬৭ সদস্য দেশের প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এ পুরস্কার অর্জন করতে হয়েছে প্রাইম ব্যাংককে। 

বুধবার সিঙ্গাপুরে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এডিবি টিএসসিএফপি অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করে। প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেল আহমেদ এবং ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

প্রাইম ব্যাংকের চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাএডিবি’র ‘জেন্ডার চ্যাম্পিয়ান’ পুরস্কারটি এশিয়ার ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষার পুরস্কার। ব্যাংকিং খাতে নারী কর্মকর্তাদের আরও বেশি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার স্বীকৃতি প্রদান করে এ পুরস্কার পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক।

যেসব কারণে এডিবি প্রাইম ব্যাংককে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করেছে সেগুলো হলো: নারী কর্মকর্তাদের অনুপাত ইন্ডাস্ট্রির অন্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি, এন্ট্রি লেভেল ও ঊর্ধ্বতন পদে নারীদের সম প্রতিনিধিত্ব, প্রতিভাময় কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য কার্যকর এমটিও রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম, নারীকেন্দ্রিক উদ্যোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও প্রসার, অনুকূল কর্মপরিবেশের জন্য যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন, উইমেন ফোরামের মাধ্যমে নারীদের সহায়তা ও পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ এবং দেশের সর্বস্তরের নারীদের অর্থনীতির মূলধারার অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ব্যতিক্রমী নারী উদ্যোগ ‘নীরা’ চালু করা।   

এ পুরষ্কার অর্জন সম্পর্কে প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেল আহমেদ বলেন, ‘জেন্ডার বৈচিত্র্যতা ব্যাংকের করপোরেট সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে মিশে আছে। আমরা নারীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে চাই, কর্মক্ষেত্রে জেন্ডারের সমতা ও বৈচিত্র্যতা নিশ্চিত করতে চাই। আমাদের ব্যাংকে বিপুল সংখ্যক নারী কর্মকর্তা হলো আমাদের বৈচিত্র্যেময় কর্মস্থল নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার প্রতিচ্ছবি। নারীদের জন্য নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করার জন্য আমরা নীতিমালা তৈরি করেছি। তাদের দিচ্ছি যথাযথ প্রশিক্ষণ। এর ফলে নারীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তারা আত্মবিশ্বাস নিয়ে কর্মক্ষেত্রে সামনে এগিয়ে যেতে পারছে।’