দুর্গম এলাকাকে সংযুক্ত রাখতে হুয়াওয়ের রুরালস্টার প্রো সল্যুশন

বাণিজ্যিকভাবে রুরালস্টার প্রো সল্যুশন চালু করেছে হুয়াওয়ে। ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকসেস ও ব্যাকহল (আইএবি) মডেলের আওতায় এই সল্যুশনটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে এটি যে কোনও দুর্গম এলাকাতে বেশ কম খরচে ভয়েস এবং মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছে দিতে পারবে। সম্প্রতি চীনের গুয়াংজুতে বাণিজ্যিকভাবে এর সম্প্রসারণ করা হয়।

বুধবার (৩ মার্চ) হুয়াওয়ে থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হুয়াওয়ে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সাইট প্রোডাক্ট লাইনের প্রেসিডেন্ট ডেভিড গুয়ো মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সাংহাই ২০২১-এ রুরালস্টার প্রো’র বিভিন্ন বিষয় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন।

গুয়ো বলেন, ‘বিশ্বে ৬০ কোটি মানুষের এখনও মোবাইল কানেক্টিভিটি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এই অঞ্চলগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে দ্রুতগতির মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছে দিতে সল্যুশন হিসেবে কাজ করবে রুরাল স্টার প্রো। এই সল্যুশনটি একটি বেসব্যান্ড ইউনিট (বিবিইউ), একটি দূরবর্তী রেডিও ইউনিট (আরআরইউ) ও একটি সিঙ্গেল মডিউলে রিলে ডিভাইসকে অন্তর্ভুক্ত করবে। যা ওয়ান মডিউল ওয়ান সাইটে সক্ষম করবে। প্রতিটি সাইটের বিদ্যুৎ খরচ হবে ১২ ওয়াটেরও কম।’

এটি বিশেষভাবে এন্ড-টু-এন্ড এর ডেপ্লয়মেন্ট খরচ হ্রাস করবে এবং বিনিয়োগের যে খরচ তা তিন বছরের মধ্যে ফিরে আসবে। বাণিজ্যিকভাবে চালুর পর গুয়াংজু প্রদেশের মাওপো গ্রামে এই সল্যুশনটি ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করেছে। রুরাল স্টার প্রো’র মাধ্যমে বেস স্টেশনের সঙ্গে এলটিই ও ভোলটিই সেবা দুই ঘণ্টার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। গ্রামে কাভারেজ রেট এখন ৮৫ শতাংশ এবং ডাউনলিংক স্পিড ৩০ এমবিপিএসে পৌঁছায়।

ঘানা ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ফর ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশনস (জিআইএফইসি) এর সিইও আব্রাহাম কফি আসান্তে এমডব্লিউসি সাংহাই অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির রুরাল নেটওয়ার্ক ডেপ্লয়মেন্ট প্যাআবন নিয়ে আলোচনা করেন। হুয়াওয়ের সঙ্গে মিলে দুই হাজারেরও বেশি রুরালস্টার সাইট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে জিআইএফইসি-এর। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ১৭২টি গ্রামীণ এলাকার আনুমানিক ৩ দশমিক ৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এই সুবিধা উপভোগ করবে এবং ঘানার মোবাইল কাভারেজ রেট ৮৩ শতাংশ থেকে ৯৫ শতাংশে উন্নীত হবে, যা স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে জিআইএফইসি নির্মাণসংক্রান্ত কাজের জন্য দায়িত্বশীল এবং স্থানীয় অপারেটরেরা এ সেবাটি পরিচালনা করবে। এ প্রকল্পটি সহজভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং স্থাপিত ৪০০ রুরালস্টার সাইট ইতোমধ্যে রাজস্ব উৎপাদন করছে।

অরেঞ্জ গিনি’র ডেপুটি সিইও ফাতোগোমা অ্যারিসটাইড ফাতোগোমা তার দেশের ডিজিটালাইজেশনের কৌশল তুলে ধরে বলেন, বৈশ্বিক মহামারির সময় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এর মধ্যে অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা অন্যতম। গিনির সকল নাগরিককে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অরেঞ্জ।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন হুয়াওয়ের ওয়েবসাইট এবং যুক্ত থাকুন তাদের ফেইসবুক পেইজে।