এসিসিএর বৈঠকে কানিজ সুলতানা

‘এক বছরে ই-কমার্স সেক্টর ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে’

মহামারির গত এক বছরে দেশের ই-কমার্স সেক্টর ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে বলে মনে করেন বাটা বাংলাদেশ-এর ফাইন্যান্সিয়াল কন্ট্রোলার কানিজ সুলতানা। তিনি বলেন, এই সেক্টরে অর্ধেকই নারী। সাধারণ সময়ে যারা সামনে আসার সুযোগ পাননি সেই নারীরাই সাহস করে এগিয়ে এসেছেন। তারা পরিবার ও দেশের ইকোনোমিতে বড় অবদান রাখছেন। বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেনে কর অব্যাহতি দিয়েছে।

আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব চার্টার্ড সার্টিফায়েড অ্যাকাউন্ট্যান্টস (এসিসিএ) বাংলাদেশ এক ভার্চুয়াল গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকে তিনি বলেন, ই-কমার্সে সবাই উদ্যোক্তা বা বিক্রেতা, এখানে কোনও উৎপাদক নেই। তারা অন্যের বানানো পণ্য বিক্রি করেন। আমাদের দেশে উৎপাদনের বেলায় বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিদেশি উৎপাদনকারীরা জটিলতার কারণে আসতে চান না। দেশীয় যারা উৎপাদনকারী রয়েছে তাদের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলেপমেন্টে বিশাল ঘাটতি রয়েছে। ফলে তাদের পণ্য বিদেশি পণ্যের সামনে টিকতে পারছে না। সরকার যদি ডিজাইন, ইনোভেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে একটু বেশি জোর দেয় তবে আমাদেও ইন্ডাস্ট্রিগুলো অনেক ভালো করবে।

গত ১২ জুন অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অন্যদের মধ্যে সামিট কমিউনিকেশনসের এমডি এবং সিইও আরিফ আল ইসলাম, পিডব্লিউসি বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার মামুন রশীদ, ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাসুদ খান, এসিসিএ বাংলাদেশের সিনিয়র বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার-লার্নিং শাহ ওয়ালীউল মনজুর, মার্কেটিং ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল হাসান এবং বিজনেস সার্ভিস ও কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার জিএম রাশেদ, সৈয়দা সাদিয়া আফরোজসহ এসিসিএ বাংলাদেশের মেম্বার এবং বিভিন্ন সেক্টরের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন এসিসিএ বাংলাদেশের হেড অব এডুকেশন প্রমা তাপসী খান এবং আয়োজনে সহায়তা করেন এইস অ্যাডভাইজরি এবং ট্যাক্সহাউজ বাংলাদেশ লিমিটেড।