বাউবি’তে তথ্য অধিকার আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রাসঙ্গিকতা বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাউবি) তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রাসঙ্গিকতা শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কমিটি।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নাসিম বানু, ট্রেজারার অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল, রেজিস্ট্রার ড. মহা. শফিকুল আলম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক তথ্য কমিশনার ড. সাদেকা হালিম রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন প্রয়োজন। বাউবি’র শিক্ষার্থী ও সুবিধাভোগীদের তথ্য প্রদান ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যেগ নেওয়ার জন্য তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আমি মনে করি, এই আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ যদি বাউবি বাস্তবায়ন করতে পারে তাহলে এখানেও কাজের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি বৃদ্ধি এবং পাশাপাশি দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা পাবে।

রিসোর্স পার্সন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগ এবং জনগণের অধিকার নিয়ে বিভিন্ন কেস স্টাডি উপস্থাপন করেন। বাউবি’র বিভিন্ন আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রে তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ এবং জনগণকে কাঙ্খিত তথ্য সরবরাহের কথা তুলে ধরেন তিনি।

মাঠ পর্যায়সহ বিভিন্ন স্তরে তথ্য প্রদানের প্রতিবন্ধকতাও উল্লেখ করেন ড. সাদেকা হালিম। তিনি আরও বলেন, তথ্য পাওয়ার অধিকার সবার আছে তবে যতটুকু যৌক্তিক ততটুকু উপস্থাপিত হতে পারে। বাউবি’র প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের  নিয়ে গবেষণা ও কেস স্টাডির উপর গুরত্ব আরোপ করেন তিনি।

দিনব্যাপী এ কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন। কর্মশালায় মোট ২৭ জন অংশগ্রহণ করেন।