সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের স্নাতকে বৃত্তি দিচ্ছে প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশন

প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশন সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেছে। শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে ২ হাজার ৬০০ টাকা করে বৃত্তি পাবে এবং এ বৃত্তি তাদের স্নাতক পর্যায়ের লেখাপড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ফাউন্ডেশনের শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি ২০২২-এর পক্ষ থেকে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশনের (পিবিএফ) সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এ কে এম সহিদুল হকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান তানজিল চৌধুরী, পরিচালকরা, প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. ইকবাল আনোয়ারসহ প্রাইম ব্যাংক এবং প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশনের শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২০০৭ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যয়নরত সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে আসছে এবং এযাবৎ ৩ হাজার ৯৬৭ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছে। এ বছর নতুন আরও ২৬০ জন অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বৃত্তিপ্রাপ্ত মোট শিক্ষার্থী ৪ হাজার ২২৭ জন।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে ২ হাজার ৬০০ টাকা করে বৃত্তি পাবে এবং এ বৃত্তি তাদের স্নাতক পর্যায়ের লেখাপড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশনের এই শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্পের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা হলেন অধ্যাপক এম কিউ কে তালুকদার, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও রাশেদা কে চৌধুরী।

প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশন শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠা করেছে প্রাইম ব্যাংক গ্রামার স্কুল, প্রাইম ব্যাংক আই হসপিটাল এবং প্রাইম কলেজ অব নার্সিং, ঢাকা। এ ছাড়া প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশন সাভারের আশুলিয়ায় ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানের একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে।

ইতোমধ্যে প্রস্তাবিত এই হাসপাতাল কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ৪ জানুয়ারি একটি সমঝোতা চুক্তি সই করেছে। এই স্টেট অব দি আর্ট হাসপাতালটি বাস্তবায়িত হলে দেশে থেকেই আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করা যাবে। ভবিষ্যতে হাসপাতালটিতে একটি মেডিকেল কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে।