বাংলাদেশের সাফল্যে প্রবাসীদের আরও বেশি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আজ আমাদের আনন্দের দিন। প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে প্রবাসী দিবস উদযাপিত হচ্ছে। অনেক চেষ্টার পর আমরা জাতীয় প্রবাসী দিবসের স্বীকৃতি পেয়েছি। দিবসের মূল্য লক্ষ্য, বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যে প্রবাসীদের আরও বেশি অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদের দাবিদাওয়া তুলে ধরা ও হয়রানি বন্ধ করা।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বে আমাদের ৮১টি মিশনে আজ একসঙ্গে প্রবাসী দিবস উদযাপিত হচ্ছে। আজ প্রবাসী দিবস জাতীয়করণের পেছনে স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি এম ই চৌধুরী শামীম ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপার অবদান অনস্বীকার্য।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটি ও সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সংগঠনটির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, প্রবাসীরা বিদেশে সব সময় এক টুকরো বাংলাদেশ নিয়ে ঘোরেন। তাদের আয়ের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পরিবারকে পাঠালে পরিবার যেমন উপকৃত হয়, তেমনি দেশও উপকৃত হয়। কিন্তু তাদের সমস্যা সমাধানে সরকারের আরও বেশি উদ্যোগী হওয়া উচিত।

স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটি এবং সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম ই চৌধুরী শামীম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আইবিএম করপোরেশেনের চাকরি ছেড়ে আমি ও আমার স্ত্রী দিলারা আফরোজ খান রূপা ২০০৫ সালে দেশে ফিরে আসে কয়েকটি উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সামনে নিয়ে। এর মধ্যে একটি ছিল প্রবাসী দিবস প্রতিষ্ঠা করা। আমরা ২০০৫ সাল থেকেই বেসরকারিভাবে প্রবাসী দিবসের দাবি তুলে ধরে আসছি এবং ২০১৭ সাল থেকে বেসরকারিভাবে প্রতি ৩০ ডিসেম্বর প্রবাসী দিবস পালন করে আসছি। আজ প্রবাসী দিবস জাতীয়করণ হওয়ায় আমরা আনন্দিত।

প্রবাস জীবন থেকে দেশে ফিরে এসে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, প্রযুক্তি, আর্থিক সেবা, কৃষি ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন খাতে অবদান রাখা সাত জন সেরা উদ্যোক্তাকে 'এনআরবি ডে অ্যাওয়ার্ড' প্রদান করা হয়। এনআরবি ডে বিশেষ পুরস্কার পান ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ারি গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর।

এ ছাড়া শিক্ষা খাতে ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক তানভীর হাসান, স্বাস্থ্য খাতে ডা. শহীদ আজীজ ও ডা. ইফতেখার মাহমুদ, প্রযুক্তি খাতে মোহাম্মদ এনায়েতুর রহমান, শিল্প ও সংস্কৃতি খাতে সিরাজুস সালেকিন ও শামস আহমেদ, কৃষি খাতে সোহেল চৌধুরী ও শিল্প খাতে মোবাইল ফিন্যান্সসিয়াল সার্ভিস ‘বিকাশ’কে পুরস্কার দেওয়া হয়।

বিকাশের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন বিকাশের প্রধান এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট এফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে জাপানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক নিয়ে প্রবীর বিকাশ সরকারের লেখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা।