ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ৩৩তম মিলিয়নিয়ার হলেন মাদ্রাসা শিক্ষক আমিনুল

ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন এবং বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০’ এ ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন রাজশাহীর মাদ্রাসা শিক্ষক আমিনুল ইসলাম। এ নিয়ে ওয়ালটনের পণ্য কিনে সারা দেশে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৩ জন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ মার্চ রাজশাহীর তানোরের ‘তছলিমা ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ৩২ হাজার ৫৯০ টাকায় ১৬৩ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন আমিনুল ইসলাম। পরে তার নাম, মোবাইল নম্বর এবং ফ্রিজের মডেল নম্বর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। ফ্রিজ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার আগেই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে একটি মেসেজ যায়, যেটি খুলে দেখতে পান তিনি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার তানোর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমিনুল ইসলামের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন অভিনেতা আমিন খান ও মিশা সওদাগর।

আমিনুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার খাগড়ায়। তিনি রাজশাহী কলেজ থেকে গণিতে স্নাতকোত্তর শেষ করে বর্তমানে শহরের আম চত্বর এলাকার আল-মারকাযুল ইসলামি আসসালাফি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পাবো তা কল্পনাও করিনি। এই টাকায় অসুস্থ বাবা-মায়ের চিকিৎসা করাবো এবং অবশিষ্ট টাকা আমার অনাগত সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রাখবো।’

মিশা সওদাগর বলেন, ‘ওয়ালটন এখন দেশের স্বনামধন্য ও শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড। সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরি করে সাশ্রয়ী দামে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।’

আমিন খান বলেন, ‘ওয়ালটন সব সময় ভালোর সঙ্গে থাকে। ওয়ালটন চায়, দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে। ঈদের আনন্দটাকে আরও বাড়িয়ে দিতে এই মিলিয়নিয়ার অফার চলছে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন– ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম, তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার মিজানুর রহমান।