ইউআইইউতে ‘বাংলাদেশের সংবিধান এবং এর শাসন কাঠামো’ শীর্ষক লেকচার অনুষ্ঠিত

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের উদ্যোগে “বাংলাদেশের সংবিধান এবং এর শাসন কাঠামো” শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ইউআইইউ ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি ছিল ‘বাংলাদেশ কর্পাস: পাবলিক লেকচার সিরিজ-২০২৪’-এর অংশ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের প্রাক্তন নিয়ন্ত্রক এবং নিরীক্ষক জেনারেল এবং বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অর্থ সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন ইউআইইউ’র স্কুল অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন প্রফেসর ড. হামিদুল হক।

মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বক্তৃতায় বাংলাদেশের সংবিধান এবং এর শাসন কাঠামোর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ বিশ্লেষণ প্রদান করেন। তার উপস্থাপনায় সংবিধান এবং সংবিধানের মৌলিক ধারণা, বাংলাদেশের সংবিধানের ঐতিহাসিক পটভূমি, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতাসহ বাংলাদেশের সংবিধানে নিহিত মৌলিক নীতিগুলোর উপর জোর দেওয়া হয়। নীতিগুলো কীভাবে শাসন কাঠামোকে নির্দেশ করে এবং আইনের শাসন বজায় রাখতে এবং সরকারি জবাবদিহি নিশ্চিত করতে অবিচ্ছেদ্য— উল্লেখ করেন তিনি।

প্রবন্ধে তিনি কার্যনির্বাহী, আইন প্রণয়ন এবং বিচার বিভাগীয় শাখাগুলোর মধ্যে ক্ষমতার পৃথকীকরণের উপর একটি আলোকপাত করেছেন। এছাড়াও তিনি ক্ষমতার কেন্দ্রীভূতকরণ রোধে এবং নাগরিকদের চাহিদার প্রতি প্রতিক্রিয়াশীল একটি সুষম শাসন কাঠামো নিশ্চিত করার জন্য এই বিচ্ছিন্নতার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।

তিনি শাসন ব্যবস্থার সম্মুখীন হওয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংস্কারের প্রধান মাইলফলক এবং সুশাসন সম্পর্কিত উদীয়মান সমস্যাগুলো মোকাবিলার জন্য ক্রমাগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি গণতান্ত্রিক শাসনকে শক্তিশালী করতে এবং সাংবিধানিক ম্যান্ডেট সমুন্নত রাখতে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর পক্ষে কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।