‘হ্যান্ড অব গড’ নিয়ে সুর পাল্টালেন ম্যারাডোনা!

১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ বিখ্যাত হয়ে আছে ডিয়েগো ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ -এর কল্যানে।১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ আলোচিত-সমালোচিত হয়ে আছে ডিয়েগো ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ -এর কল্যানে। স্বাভাবিকভাবেই তখন ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির মতো আধুনিক প্রযুক্তি থাকলে এমন কাণ্ডটি হয়তো হত না। এমনটি ভাবেন স্বয়ং সেই হ্যান্ড অব গড- কীর্তি সৃষ্টিকারী ম্যারাডোনাই! তার মতে, ‘সত্যিই তাই, যখনই প্রযুক্তির ব্যবহারে সমর্থন জানাই তখন আমি এটা ভেবে দেখেছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এ নিয়ে অনেক ভেবে দেখেছি। এমনটি থাকলে সেই গোল হতোই না।’

১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালেই হয়েছিল আলোচিত সেই কাণ্ড। ম্যারাডোনার নিজের হাত দিয়ে দেওয়া গোলেই ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেবার বিশ্বকাপটাও ঘরে তুলেছিল তারা। সেই ম্যারাডোনাই এই কথা বলতে গিয়ে উন্মোচন করলেন আরেক রহস্যের, ‘আমি আপনাদের বলতে চাই যে ১৯৯০ বিশ্বকাপেও কিন্তু আমি হাত দিয়ে বল বাঁচিয়েছিলাম। গোল লাইনের ওপর থেকে বলটি সরিয়ে দেই। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি ছিল। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম যে রেফারি সেটা দেখেনি। তখন হয়ত প্রযুক্তি ব্যবহার সহজলভ্য ছিল না। কিন্তু এখন ব্যাপারটা ভিন্ন।’

অবশ্য সুযোগ পেয়ে ইংল্যান্ডের ১৯৬৬ বিশ্বকাপ জেতা বিতর্কিত গোল নিয়েও প্রসঙ্গ তোলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি, ‘ইংল্যান্ড ৬৬ সালে যেই গোলে বিশ্বকাপ জিতেছিল সেটা তো লাইনের ওপর দিয়েই যায়নি। সেসময় প্রযু্ক্তি থাকলে হয়তো ভিন্ন কিছুই হতো।’

আগে যত কিছুই হোক এবার এই প্রযুক্তি রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্যবহার করবে ফিফা। সেই লক্ষ্যে বেশ কিছু টুর্নামেন্টেও ব্যবহার করা হয়েছে এই প্রযুক্তি।

/এফআইআর/