এরপর ধীরস্থির হয়েই খেলার চেষ্টা ছিল ইমরুলের। ১৪তম ওভারে প্রিটোরিয়াসের বলে ফাইন লেগে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে হাল্কা টোকা দিয়েছিলেন। ঠিকমতো না হওয়াতে বল গিয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষকের হাতে। ৪৩ বলে ৩১ রানে ফেরেন ইমরুল। যাতে ছিল ৪টি চার ও একটি ছয়। ৬৭ রানে দুই উইকেট হারানোর পর খানিকটা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল সফরকারী দল। সেই অস্বস্তি পরে কাটিয়ে উঠেন অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তাদের জুটিতে ভর করেই শত রান পার করেন বাংলাদেশ। এক পর্যায়ে ওয়ানডেতে ৫ হাজার রানটাও পূরণ করেন তিনি। দুর্ভাগ্যক্রমে ইমরান তাহিরের বলে আর থিতু থাকতে পারলেন না। স্লিপে আমলার হাতে বল দিয়ে বিদায় নেন সাজঘরে। সাকিবের তখন স্কোর ছিল ২৯ রান।
সাকিব বিদায় নিলেও নিজের স্বাভাবিক খেলাটা ধরে রাখেন মুশফিক। তুলে নিয়েছেন ২৭তম হাফসেঞ্চুরি। একই সঙ্গে আক্রমণাত্মক ছিলেন স্বাগতিকদের ওপর। মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে সংগ্রহ বাড়ানোর দিকেই মনোযোগী দুজন।
বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৮ রান। মুশফিক ব্যাট করছেন ৬৬ রানে ও মাহমুদউল্লাহ ১৯ রানে।
ইনজুরিতে এই ম্যাচে নেই তামিম ইকবাল। গতকালকেই জানা গেছে, গোড়লির ইনজুরিতে নেই মোস্তাফিজুর রহমানও। প্রোটিয়াদের পক্ষে অভিষেক হচ্ছে পেসার ডেন প্যাটারসনের। টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হলেও ওয়ানডেতে এবারই দলে প্রোটিয়া এই পেসার। বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হচ্ছে সাইফউদ্দিনের।
সফরে বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজে হেরেছে বাজেভাবেই। এমনকি প্রস্তুতি ম্যাচেও পাত্তা পায়নি স্বাগতিকদের কাছে।
বাংলাদেশ একাদশ: ইমরুল কায়েস, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম, নাসির হোসেন, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: কুইন্টন ডি কক, হাশিম আমলা, ফাফ ডু প্লেসিস, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডেভিড মিলার, জেপি ডুমিনি, ডোয়েন প্রিটোরিয়াস, অ্যান্ডিল ফেলুকায়ো, কাগিসো রাবাদা, ডেন প্যাটারসন, ইমরান তাহির।