পারফরম্যান্সের হেরফের সাজঘরে কেমন প্রভাব ফেলে তার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব। তার মতে, ‘জয়ের পর সাজঘরে সবাই জয় নিয়ে কথা বলে। যখন হেরে যান, তখন সবাই ব্যক্তিগত বিষয় আর নেতিবাচক বিষয়গুলো নিয়েই মেতে থাকে। বলতে গেলে পরিবেশটাই প্রধান। একজন-দুইজনের চেয়ে ভালো যে পুরো দল যাতে পারফর্ম করে।’
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মাঝে মুশফিক শুধু প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় এই প্রথম কোনও ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেছেন। এছাড়া মুমিনুল হক, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ ও লিটন দাসের ব্যাটও হেসেছে একবার করে। সৌম্যর বেলাতে বিষয়টা ছিল আরও ভয়ানক।
তুলনামূলকভাবে বোলাররা ছিলেন নখদন্তহীন। রান দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের আগের রেকর্ডও ভেঙে ফেলেছে তারা। ওয়ানডে সিরিজে দলীয়ভাবে রান হজম করেছে ১ হাজারের বেশি। তাদের বিপক্ষেই গড়া হয়েছে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ডটি। সাকিব মনে করছেন পাল্টা আক্রমণের ঘাটতিটাই ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে, ‘পরিসংখ্যান বলে গত তিন-চার বছর অ্যাওয়ে সিরিজে কেউ ভালো করেনি। তবে আশঙ্কার বিষয় আমরা এই সিরিজে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ তুলতে পারিনি। যেটা হতাশাজনক। গত দুই-তিন বছর আমরা ভালো খেলেছিলাম। তাই মনে করেছিলাম এখানে আমরা ভালো প্রতিরোধ গড়তে পারবো। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারিনি।’
সেই আশঙ্কা থেকেই সাকিব সতর্ক করে দিলেন পুরো দলকে। দলীয় নেপুণ্য রাখতে বললেন আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজে।