বোলিংয়ে ফের নিষিদ্ধ মোহাম্মদ হাফিজ

মোহাম্মদ হাফিজের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে চর্চা সেই ২০০৫ সাল থেকে। অ্যাকশন শুধরে ফিরেও লাভ হলো না পাকিস্তান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজের। তৃতীয়বারের মতো অবৈধ অ্যাকশনের কারণে আবার নিষিদ্ধ হলেন বোলিংয়ে ।

গত মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হয় পাকিস্তানের তৃতীয় ওয়ানডে। সেই ম্যাচে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে তাকে নিয়ে রিপোর্ট করেন আম্পায়াররা। নিয়ম অনুযায়ী ইংল্যান্ডের লাফবোরো ইউনিভার্সিটিতে ১ নভেম্বর অ্যাকশনের ল্যাব টেস্ট করান মোহাম্মদ হাফিজ। তাতে দেখা যায় অ্যাকশন শুধরে আসার পরেও তার কনুই ভাঙে ১৫ ডিগ্রির বেশি! বিধি ভাঙায় আন্তর্জাতিক ম্যাচে বোলিংয়ে দেখা যাবে না তাকে। অথচ অ্যাকশন শুধরে এ বছরের শুরুতেই বোলিংয়ে ফিরেছিলেন পাকিস্তানি এই তারকা। দুই বছর বোলিংয়ে নিষিদ্ধ থাকার পর ফিরেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

তার বিপক্ষে প্রথমবার অভিযোগ আসে ২০১৪ সালের নভেম্বরে। এরপর ডিসেম্বরে তার অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণা করে আইসিসি। ২০১৫ সালের এপ্রিলে অ্যাকশন শুধরে ফিরলেও লাভ হয়নি তাতে। আবারও অভিযোগ ওঠে। ২০১৫ সালের জুনে গল টেস্টে ধরা পড়েন। এরপর আইসিসির নিয়ম অনুসারে বোলিংয়ে নিষিদ্ধ থাকেন ১২ মাস। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ২৪ মাসে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ হলে ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ থাকবেন অভিযুক্ত বোলার।

অভিজ্ঞ হাফিজের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে চর্চা হচ্ছে সেই ২০০৫ সাল থেকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলতে গিয়েই অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। তখন অবশ্য এই সংক্রান্ত নিয়মের ভিন্নতা ছিল। তাই বোলিং করে গেছেন। পরে আইসিসি এই সংক্রান্ত আইনে কঠোর হলে বাঁচার আর সুযোগ পাননি হাফিজ!