লালবাগে সাকিবদের অন্যরকম একটি দিন

অলিগলি ক্রিকেট খেলে সময় কাটিয়েছেন সাকিবরামোঘল আমলের অন্যতম নিদর্শন হিসেবে পরিচিত লালবাগের কেল্লা। যে কেল্লা বহন করে চলেছে কয়েক শত বছরের গৌরবময় ঐতিহ্য। আর এখানেই বৃহস্পতিবারের দুর্যোগময় দিনে এক বেলা কাটিয়েছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের সাকিব-আফ্রিদি-সাঙ্গাকারারা। তারকা ক্রিকেটাররা মেতেছিলেন ‘গলি’ ক্রিকেটে। অবশ্য অলি-গলি ক্রিকেট খেললেও তাদের লক্ষ্য ছিল ঢাকার হয়ে সমর্থন আদায়। বিপিএলে তাই একদিনের বিরতি পেয়ে দিনটিকে সেভাবেই উপভোগ করলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের ক্রিকেটাররা।
এই অলি-গলি ক্রিকেটকে ঘিরে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই উৎসবের আমেজ ছিল লালবাগ কেল্লার আশপাশে। দুপুর আড়াইটা থেকে শুরু করে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এই ক্রিকেট অংশ নেন সাকিব-আফ্রিদিরা। মূলত পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওমেরা এলপিজি ছিল সাকিব-সাঙ্গাকারা-পোলার্ডদের প্রতিপক্ষ। ঢাকা ডায়নামাইটসের সকল ক্রিকেটাররা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সবমিলিয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটসের দেশি-বিদেশি তারকাদের হাতের নাগালে পেয়ে দারুণ একটি বিকাল কাটিয়েছেন পুরান ঢাকাবাসী।

লালবাগের কেল্লা দেখতে এসেছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের সবাই। বিদায় বেলায় ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সকলের সমর্থন চেয়ে বলেছেন, ‘আজ এমন একটি ঐতিহাসিক জায়গায় আসতে পেরে ভালো লাগছে।  সবার সমর্থন চাই বিপিএলে। সবার কাছে ঢাকা ডায়নামাইটসের জন্য দোয়া চাই।’

বিপিএল তথা ক্রিকেটকে অলিতে-গলিতে ছড়িয়ে দিতে ঢাকা ডায়নামাইটস আয়োজন করে গলির এই ক্রিকেট। সাকিবদের প্রতিপক্ষ ছিল ওমেরা এলপি গ্যাস কোম্পানিটির কর্মীরাই। এখানে ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন মূল উদ্দেশ্য থাকলেও সাকিব আল হাসান গলি ক্রিকেটে ছিলেন অনেক বেশি সিরিয়াস। সাকিব এক ওভারে পর পর তিন বলে ছয় মেরে সেটাই জানান দিয়েছেন। তাতে জয় হয়েছে ঢাকারই।

ম্যাচ শেষে উপস্থিত দর্শকদের মাঝে ব্যাট, বল, ক্যাপ এবং জার্সি বিতরণ করেন ডায়নামাইটসের খেলোয়াড়রা। ঢাকায় বড় মাঠে ক্রিকেট খেলার খুব একটা সুযোগ নেই। এই কারণে অলি-গলিতেই ব্যাট বল হাতে মেতে ওঠে কিশোর-যুবারা। আজ তেমনটা করতে পেরে দারুণ খুশি দলটির মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, ‘এমন একটি ঐতিহাসিক জায়গায় খেলতে পেরে ভালো লাগছে। আশা করবো ঢাকাবাসী আমাদের এভাবেই সমর্থন দিয়ে যাবে। আজকের এই আয়োজনটা আমাদের দলকে অনেক বেশি উজ্জীবিত করবে। সবাই ঢাকা ডায়নামাইটসের জন্য দোয়া করবেন।’

সবচেয়ে বেশি আনন্দ করেছেন বুম বুম আফ্রিদি। টেনিস বলের প্রীতি ম্যাচটিতে সবচেয়ে বেশি আনন্দ করেছেন বুম বুম আফ্রিদি। ৫ ওভারের গলি ক্রিকেটে এই লেগস্পিনার আজ করেছেন পেস বোলিং! নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে আফ্রিদি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সফর আমি সবসময় উপভোগ করি। এটা আমার সেকেন্ড হোম। এখানে ক্রিকেট খেলতে আসতে উপভোগ করি। লালবাগ কেল্লায় শুধু ক্রিকেট খেলতেই আসিনি। আমাদের দলের অনেক ভক্ত আছে এখানে। তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে ভালো লাগছে।’