উপভোগের মন্ত্রে মাশরাফি

 

চাপ নয় খেলা উপভোগ করতে চান মাশরাফিসন্ধ্যায় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের ২২ গজের ময়দানী যুদ্ধে মুখোমুখি হবে রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ডায়নামাইটস। ঢাকা বেশ আগে ফাইনালের টিকিট কাটলেও রংপুরের টিকিট নিশ্চিত হয়েছে সোমবার রাতে। অবশেষে রংপুর রোমাঞ্চকর ফাইনালের অপেক্ষায়। টানা দুই দিন খেলা হলেও বাড়তি কোনও চাপ নিচ্ছে না রংপুর শিবির। বরং উপভোগের মন্ত্র নিয়েই আজ ২২ গজে সতীর্থদের ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি।

গতবারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নমাইটসের বিপক্ষে লড়াইটা ছিল মাশরাফির কুমিল্লার। সেবার কতটা চাপ অনুভব করেছিলেন মাশরাফি? এমন প্রশ্নের উত্তরে একগাল হেসে জানালেন, ‘আমাদের চাপ নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। আমাদের দলে এগুলো নিয়ে কেউ ভাবছে বলে মনে হয় না। পুরো টুর্নামেন্টে আমরা শুধু ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। আমরা এখন কি করতে পারি, সেটা এখন জানি। এই টুর্নামেন্টে ঢাকা ও কুমিল্লা সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দল। ফাইনাল ম্যাচটিতে বাড়তি চাপ নেওয়ার কিছু নেই।  এরচেয়ে বরং উপভোগ করাটাই শ্রেয়।’

তাহলে এভাবে চাপমুক্ত থাকার রহস্যটা কী? যার ব্যাখ্যায় রংপুর অধিনায়ক বললেন, ‘গ্রুপ পর্বের খেলার কথা চিন্তা করলে আমরা চার দলের মধ্যে ফেভারিট ছিলাম না। এটা সত্য আমাদের দলে দুইজন খেলোয়াড় আছে, যারা তাদের দিনে সব শেষ করে দিতে পারে। আগে ম্যাককালাম ও গেইল ছিল। আজকে চার্লস করেছে। তিন-চারজন আছে যারা খেলা পাল্টে দিতে পারে। আমার কাছে মনে হয়, কেউই প্রত্যাশা করেনি- আমরা ফাইনাল খেলব। আশা করি ফাইনালে ভালো কিছু দেওয়ার চেষ্টা করবো। হারতেও পারি, তবে ভালো খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ।’

ঢাকার বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচের আগে সবকিছু ভুলে যেতে চান মাশরাফি। নতুন ম্যাচ নতুন করেই শুরু করার প্রত্যয় তার কণ্ঠে, ‘এসব টুর্নামেন্টে ‍শুরুতে কী করেছি, তা কখনও বিবেচিত হয় না। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা গেলেই ম্যাচ জেতা সম্ভব। আমাদের খেলোয়াড় যারা আছে, তাদের ইনিংসগুলো খেলতে পারলে আমাদের কাজটা সহজ হয়ে যাবে। গত দুই ম্যাচে আমাদের তিনটা খেলোয়াড় একাই খেলা পাল্টে দিয়েছে। মূল কথা হলো এ ধরণের টুর্নামেন্টে শেষ মুহূর্তটা কেমন হচ্ছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’