অ্যাশেজ জিতলো অস্ট্রেলিয়া

দ্বিতীয় ইনিংসে সবচেয়ে সফল ছিলেন জশ হ্যাজলউড। প্যাট কামিন্সের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন ক্রিস ওকস। এই উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে ভস্মাধারটা উদ্ধার করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইলেক্ট্রনিক বোর্ডে স্পষ্ট করেই লেখা উঠলো- অস্ট্রেলিয়া উদ্ধার করে নিয়েছে ভস্মাধার। তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে এক ইনিংস আর ৪১ রানে হারিয়ে একেক জনকে জড়িয়ে ধরে উল্লাস করতে আর ভুল করেননি স্টিভেন স্মিথরা।  যেই স্মিথরা উপমহাদেশ থেকে কিছুদিন আগে নিয়ে গেছেন হারের দুঃসহস্মৃতি!

অথচ ২০১৫ সালে এই ইংল্যান্ডই ভস্মাধারটা কেড়ে নিয়েছিল অসিদের কাছ থেকে। ৫ ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিতে নেওয়ায় আগেই নিশ্চিত হয়ে গেলো ঐতিহাসিক ভস্মাধার। অথচ কালকের ঝড়ো আবহাওয়ায় ভিন্ন কিছুর আভাস মিলছিল। তাই শুরু হয়েছিল জল্পনা-কল্পনা, শেষ দিনে জয় পাবে তো স্মিথরা?

বৃষ্টি এদিনও ভাগ্য নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় নেমেছিল। তবে বৃষ্টি থেমে গেলেও বিতর্কিতভাবে প্রায় তিন ঘণ্টা পর শুরু হয় খেলা। পিচের বাজে অবস্থায় ব্যাট করা কঠিনই ছিল এদিন।  ৭০ ওভারের মতো টিকে থাকতে হতো ইংলিশদের। কিন্তু তা আর করতে পারেনি ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২১৮ রানে। ডেভিড মালান চেষ্টা করেছিলেন দাঁড়াতে। ৫৪ রানও করেছিলেন। কিন্তু জশ হ্যাজলউডের বলে থিতু হতে পারেননি। পেইনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৫৪ রানে। তার বিদায়ের পর প্রতিরোধের দেয়াল আর বেশিক্ষণ টেকেনি। চা বিরতির আগেই অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।

এই ইনিংসে সবচেয়ে সফল ছিলেন জশ হ্যাজলউড। ৪৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। দুটি করে নিয়েছেন প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়ন। আর স্টার্ক নিয়েছেন একবিংশ শতাব্দীর সেরা ডেলিভারিতে সাজঘরে ফেরানো ভিন্সের উইকেট।