হকি দলের ক্যাম্পে দলবদল নিয়ে আক্ষেপ

শুক্রবার রিপোর্ট করেন হকি দলের খেলোয়াড়রা জাতীয় হকি দলের রিপোর্টিং ছিল শুক্রবার। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে বিকালে চয়ন-কৌশিক-আরশাদরা এসে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন এদিন। কোচ মাহবুব হারুন তাদের নিয়ে শনিবার সকাল থেকে অনুশীলনে নেমে পড়বেন। তবে অনুশীলন শুরুর আগে ঘরোয়া হকির দলবদল নিয়ে আক্ষেপ ঝরেছে খেলোয়াড়দের কণ্ঠে।

আগামী ৯ থেকে ১৬ মার্চ ওমানে হবে এশিয়ান গেমসের বাছাই প্রতিযোগিতা। সেই লক্ষ্যে ৩৮ জন খেলোয়াড় নিয়ে অনুশীলন হবে। আপাতত ফিটনেসের ওপর জোর দিবেন কোচ। ১৫ দিন পর বল নিয়ে হবে অনুশীলন। মার্চে ওমান যাওয়ার আগে একাধিক প্রীতি ম্যাচও খেলার সম্ভাবনা আছে।

ওমানের আসরে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দল যাবে ইন্দোনেশিয়ার এশিয়ান গেমসে।  তাই খেলোয়াড়রা চাইছে, ওমান যাওয়ার আগেই যেন শেষ হয় ঘরোয়া হকির দলবদল।  এতে করে খেলোয়াড়রা উজ্জীবিত থাকবে। জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি তেমন কথাই বললেন শুক্রবার, ‘দলবদল অনেক দিন ধরে হয় না। আর জাতীয় দলে যারা খেলার সুযোগ পাবে তাদের বাদ দিয়ে বাকিরা তো একসময় বসে থাকবে। আমাদের একটাই দাবি-দলবদলটা যেন হয়। এতে করে খেলোয়াড়রা চাঙা হবে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সবাই নির্ভার হয়ে খেলতে পারবে।’

আরেক ফরোয়ার্ড আরশাদ হোসেনও একই সুরে গলা মেলালেন, ‘কী বলবো? দলবদল হলে সবারই তো সুবিধা। খেলোয়াড়রা পারিশ্রমিক পাবে। আর্থিক ভাবে স্বচ্ছলতা আসলে সবাই খুশি থাকবে।’

আরেক অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার ইমরান হোসেন পিন্টুর দাবি, ‘যেই কমিটিতে আসুক। তারা যেন দ্রুত দলবদল দেয়। খেলোয়াড়দের দিক ভেবে দেখে হকির সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করবে। লিগ যেন প্রতি বছর হয় সেদিকে দৃষ্টি দেবে।’

খেলোয়াড়দের এমন মন্তব্যের পর আশার বাণী শোনালেন হকি ফেডারেশনের সদ্য অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে তিনি জানান,‘অবশেষে একটি অ্যাডহক কমিটি হয়েছে। সব ক্লাবের প্রতিনিধি আছে এই কমিটিতে। আমার প্রথম কাজ হবে ৭-৮ দিনের মধ্যে লিগ কমিটি করে দলবদলের তারিখ ঘোষণা করা। আমি চাইছি দলবদল এশিয়ান গেমস বাছাইয়ের আগেই হোক। এছাড়া একাধিক আন্তর্জাতিক আসর রয়েছে। সেখানে আমাদের ভালো করতে হবে।’