২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন এনামুল। এরপরই জাতীয় দলের জায়গা হারান। সোমবার ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিজের চেনা পজিশনেই ফিরেছেন এই ওপেনার। ইমরুল ইনজুরিতে থাকায় তার ফেরাটা আরও সহজ হয়েছে।
অবশ্য এই ফেরার পেছনে ছিল কঠোর পরিশ্রম। গত কয়েক বছর ধরে নিজের ফেরার লড়াইটা বেশ শক্ত হাতে করেছেন। ইনজুরি থেকে ফিরে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত রান করে চলেছেন। সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও ১৬ ম্যাচে ৫৯৬ রান করে সেরা ছয়ে ছিলেন। এছাড়া বিপিএলের পঞ্চম আসরে খুব একটা সুযোগ পাননি বিদেশিদের কারণে। বেশ কয়েকটি ম্যাচেই নিচের দিকে ব্যাটিং করতে হয়েছিল। তারপরও চিটাগং ভাইকিংসের দেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান ছিল তার। ৯ ম্যাচে ২৯.৪২ গড়ে দুই হাফসেঞ্চুরিতে করেন ২০৬।
বিপিএল শেষে আবারও আলোচনায় ছিলেন এনামুল। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ক্রিকেট লিগে এক মৌসুমে পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির কৃতিত্ব গড়েছেন। ৬ ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি ও এক হাফসেঞ্চুরিতে এনামুলের রান ছিল ৬১৯। আগের মৌসুমেও দুই সেঞ্চুরিতে করেছিলেন ৪৬৬ রান।
সবমিলিয়ে ইমরুলের ইনজুরি এবং এনামুলের পারফরম্যান্স তাকে একাদশে সুযোগ করে দিয়েছে। ৩০টি ওয়ানডে খেলা এনামুল একহাজারের ক্লাব থেকে ৫০ রান দূরে আছেন। তিন সেঞ্চুরি ও তিন হাফসেঞ্চুরিতে এনামুল ৯৫০ রান করেছেন।
এনামুলের মতো ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্স করে ফের ওয়ানডে স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন সানজামুল ইসলাম। ২০১৭ সালে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল সানজামুলের। ম্যাচটিতে ২ উইকেট নিয়ে আইরিশ ব্যাটসম্যানদের কিছুটা বেঁধে রাখলেও পরবর্তীতে টিম কম্বিনেশনের কারণে সুযোগ পাননি বাঁহাতি এই স্পিনার। তবে এক বছর পর আবারও সুযোগ পেলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।