মিরপুর স্টেডিয়ামের শততম ওয়ানডেতে দর্শক খরা!

মাঠের এক পাশ দর্শকহীন। ছবি: রবিউল ইসলামশততম ওয়ানডেতে নাম লেখালো জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কার বুধবারের ম্যাচ। ঐতিহাসিক দিক দিয়ে এই ম্যাচের গুরুত্ব থাকলেও দর্শকদের কাছে ছিল না তেমনটা! তাই শততম ম্যাচটিতে মিরপুরে ছিল দর্শক খরা। অনেকেই বলছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এত কম দর্শক হয়নি আর কোনও দিন!

২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় মিরপুর স্টেডিয়ামের। বুধবার ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের ম্যাচ দিয়ে ষষ্ঠ স্টেডিয়াম হিসেবে শততম ওয়ানডে আয়োজনের সাক্ষী হয়েছে ২৫ হাজার ধারণ ক্ষমতার ‘হোম অব ক্রিকেট’।

এই মাঠে প্রথম ওয়ানডে খেলা জিম্বাবুয়ে দলের তিন ক্রিকেটার আছেন বর্তমান দলে। সেক্ষত্রে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, ব্রেন্ডন টেলর ও ক্রিস্টোফার এমপোফুরা নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। যদিও বুধবার একাদশে আছেন দুইজন- মাসাকাদজা ও টেলর। ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে জিম্বাবুয়ে ওপেনার মাসাকাদজা মঙ্গলবার দারুণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়কও।

বিপরীত পাশেও ছিল একই অবস্থা! ছবি: রবিউল ইসলামকেবল উচ্ছ্বাস ছিল না বাংলাদেশের সমর্থকদের মনে! বাংলাদেশ মাঠে নেই বলেই এমন নিরুত্তাপ আজকের মিরপুর স্টেডিয়াম। তাদের আবেগ অবশ্য ফেলে দেওয়ার মতো নয়। তারপরও মিরপুরের শততম ম্যাচটিতে এমন দর্শক খরা বেশ দৃষ্টিকটুই।

মাঠ ঘুরে দেখা গেছে ২৫ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামে প্রায় ৪০০ দর্শক আজ মাঠে উপস্থিত ছিলেন। যাদের বেশিরভাগ আবার ফ্রি টিকিট পেয়ে খেলা দেখছেন! অন্যসব দিনে স্টেডিয়ামের আশেপাশে দর্শক সমাগম থাকলেও আজ গেটের আশেপাশে ছিল ভিন্ন চিত্র। নেই কোনও দর্শক। গেটে দাঁড়ানো নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য অলস সময় কাটাচ্ছেন। তাদের মধ্যেও ছিল আক্ষেপ। একজন বলেই ফেললেন, ‘আগে কখনোই এত কম দর্শক দেখিনি।’

ছোট ছেলে সোহানকে নিয়ে ব্যবসায়ী বাবা মোতালেব হোসেন খেলা দেখতে এসেছেন। তিনিও মাঠে এসে অবাক। এত কম দর্শক হয় কী করে?