খরুচে বোলিংয়ের পরেও সাইফের পাশে মাহমুদউল্লাহ

সাইফউদ্দিন।খরুচে বোলার হিসেবে গত কয়েক মাস ধরেই আলোচিত হয়েছেন সাইফউদ্দিন। বৃহস্পতিবারও ব্যতিক্রম ছিল না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলার ছিলেন।  দুই ওভার বোলিং করে ৩৩ রান খরচ করে ছিলেন উইকেট শূন্য। ১২ বলের মধ্যে মাত্র একটি বলকে ডট বলে পরিণত করতে পেরেছেন।  

বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বোলার হিসেবে অধিনায়ক বল তুলে দিয়েছিলেন সাইফউদ্দিনের হাতে। তার দ্বিতীয় ওভারে ৬ বলের চারটিই বাউন্ডারিতে পাঠান গুনাথিলাকা। নিজের দ্বিতীয় ওভারে শানাকা ও ডিকবেলার সামনে পড়েন সাইফউদ্দিন।  তারাও ৬ বলের তিনটি পাঠান বাউন্ডারিতে।  প্রথম ম্যাচটি হেরে মাহমুদউল্লাহর কাঠগড়ায় যখন বোলাররা, তখন নিশ্চিতভাবেই ‘বড় অপরাধী’ সাইফউদ্দিন।  অথচ মাহমুদউল্লাহ তরুণ এই পেসারের কাঁধেই হাত রাখলেন, ‘সাইফউদ্দিন খেলতে খেলতেই শিখবে।  সে একদিন অনেক ম্যাচ জেতাবে এটা আমি বিশ্বাস করি। যত দ্রুত ভুলগুলো থেকে শিখবে, ওর জন্য ভালো, আমাদের দলের জন্যও ভালো।  কেবলমাত্র ওর ঘাড়ে দোষ দেওয়া ঠিক হবে না।’

এমন হারে নির্দিষ্ট করে কাউকে দোষ দিতে নারাজ মাহমুদউল্লাহ, ‘আমার মনে হয় না কারও দিকে আঙুল তোলা ঠিক হবে। আজকে অপু বাদে পুরো বোলিং ইউনিটই ব্যর্থ হয়েছে।’

২০ ওভারের পাঁচটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে সাইফদ্দিন। ১০.৯২ ইকোনোমি রেটে তার উইকেট মাত্র তিনটি। যেখানে গড় ৫১.০০! তাই অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আজকের দিনকে সাইফউদ্দিনের জন্য বাজে দিন হিসেবেই দেখছেন, ‘আমার মনে হয় একটা বাজে ম্যাচ গেছে। হয়ত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারেনি ঠিকভাবে। যে ফিল্ড সেট আপ ছিল, যে লেন্থে আমি চাচ্ছিলাম, সেভাবে বল করতে পারেনি।’

এবারই প্রথম এত ব্যয়বহুল ছিলেন না সাইফউদ্দিন। এর আগে গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে মিলারের তাণ্ডবের শিকার হয়েছিলেন। তার এক ওভারে আসে ৩১ রান। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষে বিপিএলেও ড্যারেন স্যামির কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে সাইফকে।