বাংলাদেশের ম্যাচ দেখতে না এসে পারি!

বাংলাদেশের ম্যাচ দেখতে উপস্থিত এক দর্শক।সিলেট শহরে কোথাও কোনও উন্মাদনা চোখে না পড়লেও স্টেডিয়াম পাড়ায় সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেটে খেলতে নামছে। তাইতো কেউই বাংলাদেশের খেলা মিস করতে চাইছেন না। যে যেভাবে পেরেছেন টিকিটের ব্যবস্থা করে মাঠে এসেছেন।

সবার কথা একটাই- ‘বাংলাদেশের ম্যাচ, মাঠে না দেখলে কীভাবে হয়।’ অনেক স্কুল-কলেজ বাদ দিয়ে আবার অনেকে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে খেলা দেখতে এসেছেন। সবার আশা সিলেটে বাংলাদেশ জয় দিয়ে শেষ করতে পারবে।

পুরো টুর্নামেন্টে বাজে ক্রিকেট খেলে শেষ ধাপে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সামনে তাই সুযোগ শেষটা জয়ে রাঙিয়ে নেওয়ার। এখানে পাওয়া একটি জয়ে পুরো সিরিজের ব্যর্থতার ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ পড়বে।

আরও কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ মাঠে নামবে। সাড়ে চারটায় টস হওয়ার পর পাঁচটার দিকে প্রথমবারের মতো গ্রিন গ্যালারি খ্যাত সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যুতে ময়দানী যুদ্ধে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা।

২০১৪ সালে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলেও এখনও খেলার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের। অবশেষে রবিবার বিকাল পাঁচটায় সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অভিষেক হচ্ছেবাংলাদেশ দলের। সিলেটবাসীর অনেক দিনের অপেক্ষা দূর হতে আর মাত্র বাকি কিছু সময়।

28190693_1461504570625564_1864038434_nপ্রকৃতি নিজ হাতে সাজিয়েছে সিলেটকে, নান্দনিক সৌন্দর্যের এক কল্পিত রানি যেন এই সিলেট। এমন সুন্দর নগরে বাংলাদেশ তাদের ক্রিকেটীয় পরিকল্পনাগুলো সুন্দরভাবে সাজাতে পারবে- এমনটাই আশা স্থানীয়সমর্থকদের। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠেও প্রত্যয় শেষটা রাঙিয়ে নেওয়ার, ‘শেষ ম্যাচটি জেতার জন্য যাবতীয় সবকিছুই আমরা করব। ম্যাচটি জিততে পারলে অন্তত সিরিজ হার এড়ানো সম্ভব হবে।আমরা সিলেটে শেষ ম্যাচটি জিততে চাই।’

মাহমুদউল্লাহ শেষ ম্যাচটি জিততে চাইছেন। কিন্তু হাথুরুসিংহে হারতে রাজি নন। তার স্পষ্ট কথা, শেষ ম্যাচটা জিতেই বাড়ি ফিরতে চান, ‘আমরা এখানে হারতে আসিনি। এখানে জিতে আমরা আরও আত্মবিশ্বাসী দলহয়ে উঠতে চাই। আশা করি ছেলেরা পরিকল্পনা মতো কাজ করতে পারবে।’