দিবা-রাত্রির টেস্টে নিউজিল্যান্ডের দাপট

শট খেলার মুহূর্তে হেনরি নিকোলসঅকল্যান্ডে গোলাপি বলের ক্রিকেটে শুরুটা ভালো হলো না ইংল্যান্ডের। বেন স্টোকসের ফেরার দিনে কিউইদের বোলিং তোপে গুটিয়ে গেছে ৫৮ রানে। জবাবে দিবা-রাত্রির টেস্টে ১১৭ রানের লিড নিয়ে প্রথম দিন দাপটের সঙ্গেই কাটিয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। কিউইরা প্রথম দিন ৩ উইকেটে ১৭৫ রানে শেষ করেছে।

প্রথম ইনিংসে ইংলিশদের কাঁপিয়েছেন দুই পেসার- ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদি। তাদের বোলিং তোপেই ৫৮ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। যা তাদের ষষ্ঠ সর্বনিম্ন দলীয় টেস্ট স্কোর!

শুরুতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ঘরোয়া কন্ডিশনের ফায়দা পুরোপুরি নিয়ে নেয় স্বাগতিকরা। বিশেষ করে বোল্টের ১৩০ কি.মি. গতির বোলিংয়ে জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। যেখানে ডাক ছিল ৫টি। সর্বোচ্চ ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন ওভারটন। স্টোকস শূন্য রানে বোল্ড হয়েছেন বোল্টের বলে। এছাড়া ডাবল ফিগারে ছিলেন স্টোনম্যান। আউট হওয়ার আগে ১১ রান করেন।

বোল্ট ও সাউদির মিলিত আক্রমণে ২৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। তাই সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ডের কাছেই ছিল তারা। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই লজ্জা আর পেতে হয়নি।  টেস্টে ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন স্কোরটি ৪৫ রান। ১৮৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে এত কম রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। এরপর সব শেষ ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৫১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। কিউইদের হয়ে ৩২ রানে ৬ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। ২৫ রানে ৪টি নেন টিম সাউদি।

জবাবে নিউজিল্যান্ড শিবিরও ধাক্কা খেয়ে বসে ৮ রানে। অ্যান্ডারসনের বলে ফিরে যান রাভাল। শুরুর এই ধাক্কা সামলে উঠেন টম ল্যাথাম ও কেন উইলিয়ামন মিলে। যদিও ল্যাথামকে দলীয় ৯২ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙে স্বস্তি ফিরিয়েছিলেন ব্রড।  আর এই উইকেট নিয়েই টেস্টে সবচেয়ে কম বয়সে ৪০০ উইকেট শিকারের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। 
যদিও ইংলিশ শিবিরে স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। সেঞ্চুরির পথে রয়েছেন এই তারকা। অপরাজিত আছেন ৯১ রানে। এর মাঝে রস টেলর ২০ রানে ফিরে যান অ্যান্ডারসনের বলে। দিন শেষে তার সঙ্গে ২৪ রানে অপরাজিত আছেন হেনরি নিকোলস।