লালমাটিয়া-ফিয়ার ফাইটার্সের শাস্তি পুনর্বিবেচনা করবে বিসিবি

আম্পায়ারের পক্ষপাতমূলক আচরণে ভিন্ন প্রতিবাদ বেছে নিয়েছিল লালমাটিয়া ও ফিয়ার ফাইটার্স ক্লাব। ইচ্ছে করে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন দলটির পেসাররা। এমন অভিনব প্রতিবাদ মেনে নেয়নি বিসিবি। বাছ-বিচার ছাড়াই লালমাটিয়া ও ফিয়ার ফাইটার্স ক্লাবকে নিষিদ্ধ করে। একই সঙ্গে অভিযুক্তরাও হন নিষিদ্ধ।

এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে চিঠি-চালাচালির পর সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত ১২ মাস ধরে শাস্তিপ্রাপ্তরা বিভিন্নভাবে চিঠি দিয়ে আসছিলেন বিসিবিকে। তাতে ক্ষমাপ্রার্থনার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এমনকি এই বছরের জানুয়ারিতে লালমাটিয়া ও ফিয়ার ফাইটার্স দ্বিতীয় বিভাগে খেলার অনুমতিও চেয়েছিল। যদিও তাতে সাড়া দেয়নি বিসিবি।

তবে বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, ‘কিছু খেলোয়াড় ও ক্লাব থেকে আবেদনের চিঠি পেয়েছি। তাদের একজন অধিনায়কও চিঠি দিয়েছে। দ্রুতই আমরা এর পুনর্বিবেচনায় বসবো।’

গত বছরের এপ্রিলে দ্বিতীয় বিভাগের একটি ম্যাচে লালমাটিয়ার বোলার সুজন এক্সিওম ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৪ বলে ৯২ রান দিয়েছিলেন। এর আগে একই লিগের আরেকটি ম্যাচে ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ফিয়ার ফাইটার্সের তাসনিম ১.১ ওভারে দিয়েছিলেন ৬৯ রান।

আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা নাকি দুই দলের অধিনায়ককেই টসে কারা জিতেছিল সেটা দেখতে দেননি। এমনকি ব্যাটিং করতে নামলে তারা সুজনকে বলেছিলেন দ্রুত আউট হয়ে খেলা শেষ করতে। তা না হলে তারাই নাকি তাকে আউট দিয়ে দেবেন!

আম্পায়ারদের এমন অপেশাদার কথাতেই নাকি সুজন সেদিন এমন ‘লঙ্কাকাণ্ড’ বাঁধিয়েছিলেন। ওই ম্যাচে সুজনের সেই ওভারে ৮৯ রানের লক্ষ্য টপকে ৯২ রান সংগ্রহ করে এক্সিওম ক্রিকেটার্স।
পুরো ঘটনায় সুজন-তাসনিমকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। লালমাটিয়া ও ফিয়ার ফাইটার্স ক্লাবকে আজীবন নিষিদ্ধ করে বিসিবি। এছাড়া দুই ক্লাবের ম্যানেজার, অধিনায়ক ও কোচকে দেওয়া হয় ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি।-ক্রিকইনফো।